Thursday, December 18, 2025

শহরাঞ্চলেও আবাস যোজনায় গতি, দেড় লক্ষ নতুন বাড়ির প্রক্রিয়া শুরু 

Date:

Share post:

রাজ্যের শহরাঞ্চলে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষের মাথার উপর পাকা ছাদের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ আরও জোরদার করল সরকার। গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি এ বার রাজ্যের সমস্ত পুরসভা এলাকাতেই চলবে শহুরে আবাস যোজনার কাজ। নতুন করে দেড় লক্ষ উপভোক্তাকে আর্থিক সহায়তা দিতে একযোগে প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীন স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (সুডা)।

দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শহুরে আবাস যোজনার অধীনে ইতিমধ্যেই তিন লক্ষ তেতাল্লিশ হাজার বাড়ি নির্মিত হয়েছে। নির্মাণাধীন রয়েছে আরও প্রায় এক লক্ষ চল্লিশ হাজার বাড়ি। এর মধ্যেই নতুন পর্যায়ে দেড় লক্ষ উপভোক্তা বাছাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বার বাছাই ও যাচাই প্রক্রিয়া আগের তুলনায় আরও কঠোর এবং স্বচ্ছ করা হচ্ছে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী আধারের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট ইউনিফায়েড ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। উপভোক্তার মোবাইল নম্বর, আধার এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট—এই তিনটি তথ্য মিলিয়ে ওটিপি যাচাইকরণের মাধ্যমে আবেদন যাচাই করা হবে। আগে কোনও সরকারি আবাস প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া হয়েছে কি না, তা-ও আধারভিত্তিক তথ্যের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে।

কেন্দ্রীয় বরাদ্দ না মেলায় গ্রামীণ এলাকার জন্য রাজ্য নিজস্ব উদ্যোগে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প চালু করেছে, যেখানে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তবে শহুরে আবাস যোজনায় আর্থিক কাঠামো আলাদা। শহরে একটি বাড়ি নির্মাণের জন্য উপভোক্তা মোট তিন লক্ষ তেতাল্লিশ হাজার টাকা পান। এর মধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় এক লক্ষ তিরানব্বই হাজার টাকা। কেন্দ্রের বরাদ্দ দেড় লক্ষ টাকা এবং বাকি পঁচিশ হাজার টাকা দিতে হয় উপভোক্তাকেই। দপ্তরের দাবি, রাজ্য সরকারের এই আর্থিক সহায়তার অঙ্ক দেশের মধ্যে সর্বাধিক।

এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে উপভোক্তার ন্যূনতম সাড়ে তিনশো পঞ্চাশ বর্গফুট নিজস্ব জমি থাকা আবশ্যক। কয়েক মাস আগেই শহুরে আবাস যোজনার দ্বিতীয় পর্যায়ের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এ বার পশ্চিমবঙ্গে পুরোদমে কাজ শুরু হচ্ছে। খুব শীঘ্রই সমস্ত পুরসভাকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক নির্দেশ পাঠানো হবে বলেও জানা গিয়েছে। উপভোক্তা যাচাইয়ের কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে দফতর।

এ দিকে, নতুন বাছাই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না হলেও আগের পর্যায়ে অনুমোদিত বাড়িগুলির নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করতেও তৎপর রাজ্য। বেশ কয়েকটি পুর এলাকায় প্রায় পঁচাত্তর হাজার বাড়ির ক্ষেত্রে নির্মাণে ঢিলেমি নজরে এসেছে। ওই সব পুরসভাকে দ্রুত কাজ শেষ করে জিও-ট্যাগিং সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন – কথায়-কাজে বিস্তর ফারাক, পরিকল্পনাহীন অনুষ্ঠানে ‘ফ্লপ’ শতদ্রু

_

 

_

 

_

 

_

spot_img

Related articles

হোটেল থেকে হোমস্টে, বড়দিনে জমজমাট শৈল শহরের বুকিং! 

উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভরপুর শীতের আমেজ, সঙ্গে আবার উৎসবের মরশুম- তাই উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সকলেরই ক্রিসমাস (Christmas time) ডেস্টিনেশন...

আজ থেকে ‘নো ম্যাপিং’ ভোটারদের নোটিশ পাঠানো শুরু কমিশনের

বঙ্গে এসআইআর (Special Intensive Revision) পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর এবার শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর)...

নিউটাউনের ঝুপড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

উত্তর ২৪ পরগনার নিউটাউনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সন্ধ্যার পর...

বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ: বিনিয়োগের বার্তা নিয়ে শিল্পপতিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে শিল্প ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে আরও বিস্তৃত করতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ’। ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে...