যুবভারতীতে মেসির অনুষ্ঠানের টিকিট (Ticket) কেটেও যাঁরা দেখতে পারেননি, তাঁদের টাকা ফেরানোই এখন নবান্নের (Nabanna) অগ্রাধিকারের তালিকায় শীর্ষে। সরকারের অবস্থান, টিকিটের টাকা ফেরাতেই হবে, এর অন্য কোনও বিকল্প নেই। কী ভাবে সেই টাকা ফেরানো যায়, তা নিয়ে প্রক্রিয়াগত খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখা শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন।
নবান্ন সূত্রে খবর, টাকা ফেরানোর পদ্ধতি আদতে খুব জটিল নয়। তবে পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে এখনও সেই প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। সেই বিষয়গুলিই এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যুবভারতীতে মেসির অনুষ্ঠানের টিকিট বিক্রি হয়েছিল খাবার ডেলিভারি অ্যাপ জোম্যাটোর (Zomato) মাধ্যমে। ফলে আপাতত টিকিটের (Ticket) টাকা ওই সংস্থার কাছেই রয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের তরফে জোম্যাটোকে টাকা ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হলে সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে পুরো টাকা ফেরত মিলবে না।

ইভেন্ট (Event) ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত মহলের মতে, এই ধরনের বড় অনুষ্ঠানে দর্শকদের টাকা ফেরানোর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে—এ কথা মাথায় রেখেই সাধারণত আয়োজন করা হয়। সেই কারণেই টাকা ফেরানোর নির্দিষ্ট পন্থা ও সময়সীমাও থাকে। শহরের এক নামী ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্ণধারের বক্তব্য, প্রস্তাবিত শোয়ের দিন থেকে সাধারণত ৯০ দিনের সময়সীমা ধরা থাকলেও বাস্তবে সাত থেকে দশ দিনের মধ্যেই টাকা ফেরানো সম্ভব। তাঁর কথায়, সারা বিশ্বেই এমন ঘটনা ঘটেছে এবং ভবিষ্যতেও ঘটবে, তাই এই প্রক্রিয়া সহজ হওয়াই স্বাভাবিক। ইভেন্ট ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত সূত্র জানাচ্ছে, GST, জোম্যাটোর সার্ভিস ফি এবং এই ধরনের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ৪ থেকে ৬ শতাংশ কর কেটে নেওয়া হবে। ওই অংশ বাদ দিয়ে বাকি টাকা আয়োজক সংস্থা শতদ্রুকে ফেরত দেবে জোম্যাটো। এরপর শতদ্রুর সংস্থাই দর্শকদের টাকা ফেরাবে।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, শনিবারের অনুষ্ঠানে যুবভারতীর গ্যালারির জন্য প্রায় ৪৮ হাজার টিকিট ছাড়া হয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার ছিল সৌজন্যমূলক টিকিট, যার জন্য কোনও টাকা নেওয়া হয়নি। বাকি প্রায় ৩৪ হাজার টিকিট বিক্রি করা হয়। সেই টিকিট কাটা দর্শকরাই টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিদার হবেন।
আরও খবর: মেসির অনুষ্ঠানের বিশৃঙ্খলা: নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ইস্তফার ইচ্ছে প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ক্রীড়ামন্ত্রীর

তবে প্রক্রিয়াটি জটিল না হলেও একটি বড় প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যা সামনে এসেছে। শতদ্রুর সংস্থার আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি নিজেই সর্বেসর্বা। তাঁর অনুপস্থিতিতে কে সংস্থার হয়ে আর্থিক নির্দেশ দেবেন, কে সই করবেন, এই প্রশ্নগুলির স্পষ্ট উত্তর এখনও নেই। শতদ্রু বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে থাকায়, তাঁকে দিয়ে দ্রুত এই প্রক্রিয়া শুরু করা আইনি ভাবে কতটা সম্ভব, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, এই আইনি ও প্রক্রিয়াগত দিকগুলি পরিষ্কার হলেই রাজ্য সরকারের তরফে জোম্যাটোকে আনুষ্ঠানিক বার্তা দেওয়া হবে।

–

–

–

–

–


