বাংলাদেশী নৌবাহিনীর হামলায় কাকদ্বীপে ট্রলার ডুবে মৃত্যু ২ নিখোঁজ মৎস্যজীবীর (Namkhana fisherman dead)! মৃতদের নাম সঞ্জীব দাস ও রঞ্জন দাস। এখনও তল্লাশি চলছে বাকি ৩ মৎস্যজীবীদের। নিখোঁজ ট্রলার এফবি পারমিতা–১১ সহ মৃত দুই মৎস্যজীবীকে নামখানার নারায়ণপুর ঘাটে আনা হয়েছে ট্রলারটিকে। সেখান থেকেই ময়নাতদন্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দেহ দুটিকে।
ট্রলারটিকে খুঁজে পাওয়ার পর, জল বার করতেই ইঞ্জিন ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় ওই দু’জনের নিথর দেহ। প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনা মনে হলেও মৎস্যজীবীরা অভিযোগ করছেন, বল্লম দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে! মৎস্যজীবী সইফুদ্দিন শেখের অভিযোগ, “বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ যখন ট্রলারের খুব কাছাকাছি আসে, তখনই আমাদের লক্ষ্য করে ওই জাহাজ থেকে বল্লম ছোড়া হয়। ট্রলারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মৎস্যজীবী রাজদুল আলি শেখের গায়ে ওই বল্লমের আঘাত লাগে। সে রক্তাক্ত অবস্থায় জলে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যায়।” সঞ্জীব দাসের বাড়ি কাকদ্বীপের পশ্চিম গঙ্গারামপুরে। রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর পূর্বখালির দুরাজপুরে। মৃতদের পরিবারকে খবর পাঠানো হয়েছে। আরও পড়ুন: ফিরে এলেন ১১ জন মৎস্যজীবী, এখনও নিখোঁজ ৫ জন

গত ১৩ ডিসেম্বর নামখানা খেয়াঘাট থেকে এফবি পারমিতা–১১ নামের একটি ট্রলার ১৬ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে গভীর সমুদ্রে রওনা দিয়েছিল। সেদিন রাতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ধাক্কার জেরে ট্রলারটি গভীর সমুদ্রে ডুবে যায়। ১৬ ডিসেম্বর ১১ জন মৎস্যজীবীকে নামখানায় নিয়ে ফিরেয়ে আনা হয়েছে।

–

–

–

–

–

–

–


