বৃহস্পতিবার ধনধান্য স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হল রাজ্য সরকারের আয়োজিত বাণিজ্য কনক্লেভে। মঞ্চে ছিল শিল্পপতিদের নক্ষত্র সমাবেশ। কনক্লেভের মঞ্চ থেকেই উন্নয়নমূলক প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরলেন অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান হর্ষবর্ধন নেওটিয়া(Harshabardhan Neotia)।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে বাংলায় পর্যটন-স্বাস্থ্যে আমূল পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি জানান, গত ১৫ বছরে তাঁদের গ্রুপ বিভিন্ন খাতে প্রায় ১০,০০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে, যার ৭০ শতাংশই হয়েছে এই বাংলায়। আবাসন থেকে শুরু করে পর্যটন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য – প্রতিটি ক্ষেত্রেই আগামী কয়েক বছরে লগ্নি ও কর্মসংস্থানের এক বিশাল সুযোগ তৈরি হতে চলেছে।

হর্ষবর্ধন নেওটিয়া(Harshabardhan Neotia) নিজের বক্তব্যে বলেন, ”আমাদের আসল ব্যবসা সিমেন্ট যার ভিত্তি মুম্বই কিন্তু আমি আনন্দিত যে বাংলায় আমাদের দুটো ইউনিট রয়েছে সাঁকরাইল ও ফারাক্কাতে। আমি গর্বিত যে বাংলা অর্থাৎ আমার জন্মস্থানে সিমেন্টের হেডকোয়ার্টার করতে পেরেছি। অনেকটাই উন্নত হয়েছে বাংলার পর্যটন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্র। ২০১৫ সালে শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা নেওটিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করেছি। শুরুতে সেদিন ছিল মাত্র ৪০ জন, আজ ৪০০০ পড়ুয়া এই বিশালাকায় ক্যাম্পাসে পড়ছে। আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যেই ৮০০০ পড়ুয়া ভর্তি হতে পারবে বলেই মনে করছি। হসপিটালিটি ক্ষেত্রে রায়চকে আমরা একটি হোটেল দিয়ে শুরু করেছিলাম যার নাম এখন তাজ গঙ্গা কুটির। এখন আমরা বাংলায় সুনামের সঙ্গে ৭টি হোটেল চালাচ্ছি। আরও ১০টি হোটেলের চিন্তাভাবনা চলছে যার মধ্যে ৪টি নির্মাণাধীন।”

পর্যটন ও স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে বিশিষ্ট এই শিল্পপতি জানিয়েছেন, ”বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণে দ্বিতীয় স্থানে বাংলা এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। সরকারের তরফে পর্যটন খাতে যে উন্নয়ন করা হয়েছে তারই ফল পাওয়া যাচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতে আমরা শুরু করেছিলাম ১টি হাসপাতাল দিয়ে তবে এখন বাংলায় আমাদের ৩টি হাসপাতাল আছে। নেওটিয়া ভাগীরথী ওমেন অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার সেন্টার’ তাদের নিউটাউন ক্যাম্পাসে একটি অত্যাধুনিক শিশু চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছে এবং এই সম্প্রসারণের ফলে হাসপাতালের মোট শয্যা সংখ্যা বেড়ে এখন ২২০।”

এখানেই থেমে না থেকে বিশিষ্ট শিল্পপতি বলেন, “শিশুদের চিকিৎসার জন্য এখানে পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, নিউরোলজি, গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজি, ইউরোলজি এবং অর্থোপেডিকের মতো বিভাগ চালু করা হয়েছে। আছে বিশেষভাবে তৈরি পেডিয়াট্রিক ক্যাথ ল্যাব, কার্ডিয়াক সার্জারি ওটি, ডায়ালিসিস ইউনিট এবং সিটি স্ক্যান, এমআরআই সহ নানা আধুনিক মেশিন। এছাড়া আরও ৩টি হাসপাতাল তৈরী করতে চলেছি: দুর্গাপুর, তারাতলা ও নিউটাউন। যে বিনিয়োগের কথা জানিয়েছিলাম সেটা সঠিক পথেই এগোচ্ছে কারণ মুখ্যমন্ত্রী ও বাংলার থেকে পেয়েছি অভাবনীয় সমর্থন। বাংলার মানুষের চাহিদা বোঝার আশ্চর্জনক ক্ষমতা আছে মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর সব প্রকল্প সার্বিকভাবে মানুষের স্বার্থে মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেয়।”

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হর্ষ নেওটিয়া (Harshabardhan Neotia), সঞ্জীব পুরি, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, রুদ্র চট্টোপাধ্যায়, সঞ্জয় বুধিয়া, উমেশ চৌধুরীর মত শিল্পপতিরা।



