ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) প্রক্রিয়ায় এই প্রথম কোনও ভোটারকে শো-কজ নোটিশ পাঠাল নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ, এক ব্যক্তি কলকাতার শ্যামপুকুর এবং উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে দুটি পৃথক এনুমারেশন ফর্ম জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নজরে আসতেই কমিশন তদন্ত শুরু করে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায় একটি ফর্মে ভোটারের নিজের সই থাকলেও অন্য ফর্মে সই রয়েছে তাঁর এক আত্মীয়ের। বিষয়টি স্পষ্ট করতেই সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শো-কজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এর পাশাপাশি বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ২৮০০ জন অতিরিক্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (এএইআরও) নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক প্রয়োজন অনুযায়ী তাঁদের বিভিন্ন জেলায় কাজে লাগাবেন বলে জানানো হয়েছে। কমিশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আঞ্চলিক বিদেশি নথিভুক্তকরণ শাখা (এফআরআরও) থেকে এখনও বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম আসছে, যাঁরা অবৈধভাবে এ দেশের ভোটার কার্ড করিয়েছেন বলে অভিযোগ। কমিশনের বক্তব্য, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরেও এ ধরনের নাম ধরা পড়লে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একই সঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়ায় প্রায় এক হাজার ভোটারের নাম চিহ্নিত হয়েছে, যাঁরা মায়ের দিকের আত্মীয়তার সূত্রে ম্যাপিং দেখিয়েছেন। তাঁদেরও শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এ ছাড়াও পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থেকে একটি গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, এক ভোটার মৃত ব্যক্তিকে বাবা হিসেবে দেখিয়ে ভুয়ো নথির মাধ্যমে প্রায় বারো বছর আগে ভোটার কার্ড ও পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশে চলে যান। এসআইআর প্রক্রিয়ায় বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিএলও খোঁজখবর শুরু করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তিকেও শুনানিতে ডাকা হবে। নির্বাচন কমিশনের দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ায় একের পর এক অনিয়ম সামনে আসছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লক্ষ্য একটাই—যোগ্য ভোটারদের নাম তালিকায় রাখা এবং অযোগ্যদের বাদ দেওয়া।

আরও পড়ুন- উত্তরপাড়া থেকে বাগদা! ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগে বাড়ছে ক্ষোভ

_

_

_

_

_

_
_


