কয়েকদিন পরই শুরু গঙ্গাসাগর মেলা(Gangasagar Mela )। প্রশাসনের তরফে মেলার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। মেলা যাতে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় তারজন্য জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে ।
মেলা প্রাঙ্গণ সাজিয়ে তোলার বড় দায়িত্ব থাকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের উপর। ইতিমধ্যেই ওই দফতরের আধিকারিকদের একটি দল গঙ্গাসাগরে পৌঁছে কাজকর্ম তদারকি শুরু করেছেন বলে সূত্রের খবর। পানীয় জল, শৌচালয়, নিকাশি ব্যবস্থা-সহ পরিকাঠামোগত প্রস্তুতিতেই তাঁদের মূল নজর।

এ ছাড়াও সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরার দফতর থেকেও মেলার বিভিন্ন প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক মহলের মতে, লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগমের কথা মাথায় রেখেই এবছর আগেভাগে প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে, যাতে গঙ্গাসাগর মেলা(Gangasagar Mela) নির্বিঘ্ন ও সুশৃঙ্খল ভাবে সম্পন্ন করা যায়।

নবান্ন সূত্রে খবর, পুণ্যার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সাগর দ্বীপে প্রায় ৫০ কিলোমিটার রাস্তার মেরামত ও সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ভিড়ের চাপ সামাল দিতে বিকল্প বন্দোবস্ত হিসেবেও সাগরতট সংলগ্ন এলাকায় কয়েকটি ছোট রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। এই কাজের দায়িত্বে রয়েছে গঙ্গাসাগর–বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ।

মেলা চলাকালীন যাত্রী পরিবহণ যাতে নির্বিঘ্ন থাকে, সে জন্য লট–৮, বেণুবন এবং কচুবেড়িয়া জেটি ঘাটের রক্ষণাবেক্ষণের কাজও শুরু হয়েছে। ভিড় বাড়লে ব্যবহারের জন্য একাধিক অস্থায়ী জেটি তৈরি করা হচ্ছে, যা মেলার সময় চালু থাকবে।

পুণ্যার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য কপিলমুনি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় নতুন একটি বাস স্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে বাস চলাচল এবং যাত্রী ওঠানামা আরও সুশৃঙ্খল হবে বলে প্রশাসনের আশা। একই সঙ্গে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার তরফে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের কিছু অংশ মেরামতের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই কাজও বর্তমানে জোরকদমে চলছে বলে জানা গিয়েছে।

–

–

–

–


