শীতের আমেজে দিঘা-দার্জিলিংকে টেক্কা দিতে তৈরি জঙ্গলমহল। এখন বাঙালির ডেস্টিনেশনের তালিকার শুরুতেই উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) স্বপ্নের জেলা ঝাড়গ্রামের নাম। বড়দিন আর নতুন বছরের আগে শাল-পিয়ালের জঙ্গলমহল এখন পর্যটকদের ভিড়ে গমগম করছে। সব মিলিয়ে ঝাড়গ্রাম যেন এখন উৎসবের মেজাজে।
বছরের শেষ ক’টা দিন শান্তিতে কাটাতে ভিড় জমছে অরণ্যসুন্দরী ঝাড়গ্রামে। আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলার অধিকাংশ হোটেল এবং হোম-স্টেতে ‘হাউসফুল’ বোর্ড ঝুলে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বেলপাহাড়ি ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশো থাকার জায়গা থাকলেও, এখন একটি ঘর পাওয়াও দুষ্কর। পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি, পর্যটকদের এমন ঢল আগে কখনও দেখা যায়নি। বিশেষ করে বেলপাহাড়ির মতো পাহাড়ি এলাকায় কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এবার ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কে নতুন চমক হিসেবে আলিপুর থেকে আনা হচ্ছে তিনটি কুমির। পর্যটকদের বাড়তি চাপের কথা মাথায় রেখে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চিড়িয়াখানা প্রতিদিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর। এছাড়া কুয়াশা ঘেরা জঙ্গলে পর্যটকদের কাছে আরেক চমক জঙ্গলমহলের পুরোনো ও অনন্য এক স্বাদ বাঁশপোড়া চিকেন। হাড়কাঁপানো ঠান্ডার জন্যে রয়েছে ক্যাম্প ফায়ার সঙ্গে আড্ডা ও গান। আরও পড়ুন: ১৬ বছরের দাম্পত্য জীবন ভাঙল নৃত্যশিল্পী শ্রীনন্দা শঙ্করের

পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ ও বন দফতর বিশেষ তৎপর। প্রতিটি দর্শনীয় স্থানে পুলিশের কড়া টহলদারি চলছে। পর্যটকদের যেকোনো প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর। আলোয় সাজানো শহর আর প্রকৃতির নিবিড় ছোঁয়া—সব মিলিয়ে শীতের ঝাড়গ্রাম এখন পর্যটকদের কাছে এক টুকরো স্বর্গ। জঙ্গলমহলের এই নতুন রূপ রাজ্যের পর্যটন শিল্পে এক নতুন দিক খুলে দিচ্ছে।

–

–

–

–

–

–


