চিরাচরিত রীতি মেনে মঙ্গলের সকালে শান্তিনিকেতনের শুরু পৌষমেলা। রবীন্দ্র সংগীতের সুরে মুখরিত বিশ্বভারতী চত্বর (Visva Bharati University Campus)। ছাতিমতলায় ব্রহ্ম উপাসনায় অংশ নেন উপাচার্য প্রবীরকুমার ঘোষ (Prabir Kumar Ghosh), অধিকর্তা অমিত হাজরা, অধ্যপক সুমন ভট্টাচার্যরা। পড়ুয়া ও আশ্রমিকরাও। ঐতিহ্যের শান্তিনিকেতনের এই উৎসব সূচনার মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে দেশ বিদেশ থেকে প্রচুর পর্যটক হাজির হয়েছেন লাল মাটির দেশে। পৌষমেলা (Poush Mela) চলবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হয় বীরভূম জেলা শাসক ধবল জৈন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকে। আগামী ৬ দিন ধরে মেলা প্রাঙ্গণের বিনোদন মঞ্চে বাংলার বিভিন্ন জেলার শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।
‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমাপ্রাপ্ত শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা (Shantinekatan Poush Mela) কোন সাধারণ উৎসব নয়, এগুলো বাঙালির চিরন্তন আবেগ। রবীন্দ্র ভাবাবেগে আজ উদ্বেলিত মেলা প্রাঙ্গণ চত্বর। দর্শনার্থী এবং পর্যটকদের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছে প্রশাসন। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৭০০টি স্টলের প্লট বুক হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দমকল ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। পৌষমেলা উপলক্ষে শান্তিনিকেতন জুড়ে স্থায়ী প্রায় ২০০টি সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গণ ও প্রবেশপথে বসানো হয়েছে আরও ৩০০টি অস্থায়ী ক্যামেরা। পাঁচটি উচ্চমানের ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হবে। মেলায় থাকছে ৩৬টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র, ১০টি ওয়াচ টাওয়ার, আটটি ড্রপ গেট, চাইল্ড ফ্রেন্ডলি কর্ণার। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এসডিপিও, ডিএসপি ছাড়াও মহিলা পুলিশ, র্যাফ, সাদা পোশাকের পুলিশ, অ্যান্টি-ক্রাইম টিম ও বিশেষ উদ্ধারকারী দলও তৈরি রাখা হয়েছে।

–

–

–

–

–

–

–

–


