প্রতিবেশী বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কলকাতার বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের সামনে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ বলে আখ্যা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানায় শাসক দল।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার শুরু থেকেই নীতিগত ও রীতিগতভাবে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, রাজ্য সরকার তাকেই সমর্থন করবে। সেই অবস্থান থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের সামনে এই ধরনের বিক্ষোভ সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, যাঁরা এদিন গোলমাল করেছেন, তাঁরা সকলেই বিজেপির কর্মী। তা হলে প্রশ্ন উঠছে, তাঁদের এই বিক্ষোভের লক্ষ্য আসলে কী। তাঁর মতে, বাংলাদেশের বিষয়ে যদি কোনও পদক্ষেপের দাবি জানাতে হয়, তা হলে দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানানো উচিত ছিল। তার পরিবর্তে কলকাতায় কূটনৈতিক স্থাপনার সামনে গন্ডগোল পাকিয়ে সস্তা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ উপ দূতাবাস অন্য একটি দেশের কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠান। সেখানে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার সম্পূর্ণ দায় রাজ্য সরকারের ওপর বর্তায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তাই পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। বিজেপির উদ্দেশ্যই ছিল এমন পরিস্থিতি তৈরি করা, যাতে রাজ্য সরকারকে বিব্রত করা যায় বলে কুণালের অভিযোগ। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের দাবি, বিজেপি যত এই ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করবে, ততই স্পষ্ট হয়ে উঠবে যে কেন্দ্রীয় সরকার গোটা ঘটনায় বাংলাদেশকে কোনও কড়া বা কার্যকর বার্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে বিজেপির অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করল তৃণমূল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন- রাজধানীতে বড়দিনের টুপিতে ‘না’! ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে ক্রমশ কোণঠাসা সংখ্যালঘুরা

_

_

_

_

_
_


