দেশে গণপিটুনি দ্বিতীয় সাজার নজরি রাখল বাংলার পুলিশ। রাজ্য পুলিশের একাধিক বিভাগের সমন্বয়ে মঙ্গলবার সামশেরগঞ্জের (Samsherganj) জাফরাবাদের গণপিটুনিতে (mob lynching) খুনের ঘটনায় সাজা ঘোষণা করে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালত (Jangipur Court)। তবে সাজা ঘোষণার আগেই রাজ্য পুলিশের তরফে তুলে ধরা হয় সেইসব তথ্য যার ভিত্তিতে ১৩ জন অভিযুক্তকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসে সিট (SIT)।
রাজ্য পুলিশের এডিজি, দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার তদন্ত প্রক্রিয়া স্পষ্ট করে যে কারণ জানান সেগুলি – প্রথমত, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV footage) সংগ্রহ করা হয়। সেখানে মূল অভিযুক্ত পাঁচজনের সঙ্গে আরও ৮ জনের প্রত্যক্ষ যোগের প্রমাণ মেলে। সেই মতো ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে সিট। এরপর অল্প কিছুদিনের মধ্যে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

দ্বিতীয়ত, ধৃতদের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন (mobile tower location) গুগল ম্যাপিংয়ে তুলে ধরে প্রমাণ করা হয় ঘটনার দিন ও সময়ে ওই ১৩ জন ওই ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিল। তাদের ঢোকা, বেরোনোরও প্রমাণ তুলে ধরা হয় আদালতে।

তৃতীয়ত, অভিযুক্তদের গেট প্যাটার্ন (GAIT pattern) বিশ্লেষণ করা হয়। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV footage) থেকে অভিযুক্তদের হাঁটাচলার বিশ্লেষণ করা হয়। তার সঙ্গে পুলিশে হেফাজতে থাকা অভিযুক্তদের হাঁটাচলা গেট প্যাটার্নে বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করা হয় ধৃতরাই ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল।

চতুর্থত, ১৩ জন অভিযুক্তকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন তাদের থেকে কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সেই অস্ত্রে যে রক্তের নমুনা পাওয়া গিয়েছিল, তার সঙ্গে মৃত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দায়ের ডিএনএ (DNA sample) মিলিয়ে দেখা হয়। সেই নমুনাও মিলে যায়।

আরও পড়ুন : সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলে খুনে ১৩ দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতের

যাবতীয় প্রমাণের ভিত্তিতেই সোমবার আদালত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। প্রশাসনের তরফে বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় আদালতে ১৩ জনের ফাঁসির শাস্তি (death penalty) দাবি করেন। যদিও আদালত তাদের যাবজ্জীবনের সাজা শোনায় মঙ্গলবার।

–

–

–


