একটি রাজনৈতিক দলকে সম্পূর্ণ বাইরে রেখে কীভাবে বাংলাদেশে স্বাধীন ও স্বচ্ছ সরকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব? এবার প্রশ্ন তুলল খোদ আমেরিকা। মহম্মদ ইউনূসের (Mohammed Yunus) অন্তর্বর্তী সরকারকে (Interim Government) আওয়ামি লীগের (Awami League) উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ পুণর্বিবেচনার প্রস্তাব দিয়ে চিঠি লেখা হল আমেরিকার সংসদে নিম্নকক্ষের (lower house) স্ট্যান্ডিং কমিটির তরফে।

নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের আসন্ন ২০২৬ সাধারণ নির্বাচন বয়কট করার ডাক দিয়েছে আওয়ামি লীগ। তবে তা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ইতিমধ্যে ওসমান হাদি হত্যার পর বাংলাদেশে হিংসার পরিবেশ জারি রয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে ওসমান হাদি হত্যার নিন্দা-সহ বাংলাদেশ প্রশাসনের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। কিন্তু এবার আওয়ামি লীগের ক্ষেত্রে অবস্থান বদল ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসনের।

মার্কিন হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের কমিটির (Foreign Affairs Committee) তরফে রাজনৈতিক দলের উপর নিষেধাজ্ঞা (ban) জারি করে বাংলাদেশে নির্বাচন সংঘটিত করার সমালোচনা করা হল। ইউনূস প্রশাসনের দাবির উল্লেখ করেই মার্কিন সংসদের নিম্নকক্ষের প্রতিনিধি দলের প্রশ্ন, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন স্বাধীন এবং স্বতঃস্ফূর্ত হয়নি, এমনটাই আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত। ফেব্রুয়ারি মাসের আসন্ন নির্বাচন স্বাধীন এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে এমনটাই আশা করা যায়। কিন্তু কীভাবে?
আরও পড়ুন : হাসিনার সাজা ঘোষণার পরই অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, ঘটল মৃত্যুর ঘটনাও

বাংলাদেশে স্বাধীন ও স্বতঃস্ফূর্ত (free and fair) হওয়ার আশা থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে লেখা চিঠিতে দাবি করা হয়, কোনও একটি রাজনৈতিক দলের কাজকর্মে সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি (ban) করা যথেষ্ট উদ্বেগের। সেক্ষেত্রে দুষ্কৃতীদের শাস্তি প্রদান এবং মানবাধিকারে হস্তক্ষেপকারীদের আইনি প্রক্রিয়ার অধীনে আনাই কাম্য। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পুনবিবেচনা করবে এমনটাই আশা করা হয়। বাংলাদেশের মানুষ তাঁদের পছন্দের নির্বাচিত সরকার স্বাধীন এবং স্বতঃস্ফূর্ত পথে প্রতিষ্ঠা করার অধিকারই দাবিদার।

–

–

–

–

–


