আইএসএল(ISL) নিয়ে জট কাটছে। বছর শেষে অনিশ্চয়তার মেঘ কিছুটা হলেও কাটছে। শুক্রবার ক্লাব জোটের সঙ্গে ফেডারেশনের মেগা মিটিং ছিল, বৈঠকের পর জট কাটার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার আইএসএলের রোডম্যাপ নিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের(AIFF) কমিটির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিল ১৩টি ক্লাব এবং ইন্টার কাশীর প্রতিনিধিরা। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের কোনও প্রতিনিধি এই বৈঠকে অংশ নেয়নি।

মিটিংয়ের পর জট খোলার একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আইএসএলের(ISL) শেয়ার ভাগ হবে একাধিকভাগে, ক্লাব ৫০ শতাংশ, ফেডারেশন -১০ শতাংশ, কমার্শিয়াল পার্টনার-৩০, বাকি ১০ শতাংশ প্রেফারেন্সিয়াল রেভিনিউ শেয়ার থাকবে।
এভাবে প্রস্তাব আগামী দিনে গৃহীত হলে ক্লাবগুলির আপত্তি থাকার কথা নয়। এফএসডিএল আর ক্লাবরা এটাই তো চাইছিল এতদিন ধরে।২৯ ডিসেম্বর সম্ভবত এই বছরের লিগের তারিখ জানা যেতে পারে।

আইএসএল আয়োজন নিয়ে ফেডারেশনের তরফে ২০ বছরের একটি নকশা প্রস্তাব দেওয়া হয় ৷ বৈঠকে বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেক মরশুমে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ফি বাবদ এক কোটি টাকা করে দেবে ৷ যদিও লিগ চলবে ‘সেন্ট্রাল অপারেশনাল বাজেট’-এর উপর নির্ভর করে ৷ যা তৈরি হবে লিগের সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের বার্ষিক অবদানের উপর ভিত্তি করে ৷

তবে আইএসএলের জন্য প্রতিটি ক্লাবকে ১ কোটি টাকা করে দিতে হবে। অর্থাৎ ১৪ কোটি টাকা সহজেই পেয়ে যাচ্ছে সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। তার উপর লিগের লভ্যাংশ তো আছেই। তবে ক্ষতি হলে সেটার দায়ও নিতে হবে। আগামী মরশুমে অবনমন না থাকলেও পরের দিকে তা থাকবে। সেক্ষেত্রে যদি কোনও দল অবনমনে চলে যায়, তাহলে পরবর্তী দুই বছরের জন্য তারা ‘প্যারাস্যুট পেমেন্ট’ পাবে।

এদিকে, এআইএফএফের আপিল কমিটি আনোয়ার আলির দলবদলের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে ফেরত পাঠিয়েছে। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিল্লি হাইকোর্টের চলমান মামলার ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে। ফলে আনোয়ার আলির ভবিষ্যত ঝুলেই রইল।

–

–

–
–


