বছর শেষেও আইএসএল নিয়ে অচলাবস্ত কাটল না। দেশের সর্বোচ্চ লিগ নিয়ে খুব ক্ষীণ একটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। কিন্তু লিগ কবে শুরু হবে কী ফর্ম্যাটে হবে এই সব কিছু নিয়েই রয়েছে চূড়ান্ত ধোঁয়াশা। হয়ত লিগ একটা হবে কিন্ত সেটা আগের মতো হবে না। সীমিত পর্যায়ের একটা প্রতিযোগিতা হবে, কিন্ত সেটা আগের মতো আর্কষণীয় হবে না।

একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম আয়োজিত কনক্লেভ ট্রেইলব্লেজার্স ৪.০(Trailblazers 4.0 Conclave) এই প্রসঙ্গে আলোচনা হবে। কিছু না হওয়ার থেকে একটা লিগ হলে সেটা ভারতীয় ফুটবলের জন্য উপকারী হবে। কোচ থেকে ফুটবলার থেকে ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত সবার উপকার হবে।তারা একটি জীবন খুঁজে পাবে।

ভারতীয় ফুটবলের কঠিন সময়ে কিছুটা হলেও অক্সিজেন দিচ্ছে রাজ্য স্তরের লিগ গুলি। বর্তমান সময়ে রাজ্য ফুটবল সংস্থা এবং বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে বাংলা ও কেরলে চলছে লিগ। বাংলায় শ্রাচির(Srachi) উদ্যোগে চলছে বেঙ্গল সুপার লিগ (Bengal Super League)।যেখানে ভূমিপুত্ররা খেলার সুযোগ পাচ্ছেন, অনেক মানুষ দেখতে আসছেন। পাশাপাশি কেরলেও একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
কেরালায়, প্রতিটি খেলায় গড়ে ২৫,০০০ এরও বেশি দর্শক উপস্থিতি ছিল এবং এটি একটি বিস্ময়কর পরিসংখ্যান। বেঙ্গল সুপার লিগ (Bengal Super League) প্রমাণ করে যে রাজ্যে জেলা স্তরে ফুটবলের দর্শক রয়েছে এবং আমাদের এটি ভালোভাবে করতে হবে।

এই কনক্লেভে “ভারতীয় ফুটবলের জন্য রাজ্য লিগই কি এগিয়ে যাওয়ার পথ” এই শীর্ষক বিষয়ে আলোচনা হবে। প্যানেলে একজন প্রশাসক, একজন বিখ্যাত ফুটবলার, বিএসএলের পরামর্শদাতা বা স্কাউট হিসেবে যুক্ত একজন ফুটবলার, প্রমোটার, শ্রাচির প্রতিনিধি এবং কেরল সুপার লিগের একজন দলের মালিক থাকবেন।

এই ধরনের লিগ কি ফুটবলের বাস্তুতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে পারে এবং ফুটবলকে নতুন করে উৎসাহিত করতে পারে? আমরা কি নতুন প্রতিভার আবির্ভাব দেখতে পাব? দেশের সর্বোচ্চ লিগ সবকিছু ঠিক হয়ে গেলে, এই টুর্নামেন্টগুলি কি ক্লাবগুলির জন্য সাপ্লাই লাইন হতে পারবে? এই প্রশ্নগুলি নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী মার্চ মাসে এই কনক্লেভ অনুষ্ঠিত হবে।

–

–

–

–


