উপনির্বাচনে কোনওভাবেই শূন্য থেকে উপরে ওঠা সম্ভব নয় আন্দাজ করেই ময়দানকে রাজনীতির ঘোলাজলে নামিয়েছে বামেরা। নৈহাটির (Naihati) তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দের সমর্থনে কলকাতার ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান মহামেডান তিন প্রধান কর্তা বক্তব্য পেশ করলে তা নিয়ে রাজনীতির নতুন রসদ খুঁজে পায় সিপিআইএম। তবে শূন্যতে নেমে যাওয়া বামেদের কথায় কোনওভাবেই গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল, স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)।
তৃণমূল প্রার্থীর ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে ভূমিকাকে তুলে ধরে বেনজির সমর্থন জানিয়েছেন তিন প্রধান কর্তারা। তাতে বামেদের দাবি, ময়দানকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করা হয়েছে। পাল্টা মন্ত্রী অরূপ বলেন, “বাংলার নাগরিক হিসাবে প্রত্যেক বাংলার মানুষের অধিকার রয়েছে সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার। তিন প্রধানকে ক্লাবের প্রশাসন চালাতে হয়। এটা তাঁদের আবেগ। তাঁরা যেখানে সুবিধা পান, যাঁরা তাঁদের পাশে দাঁড়ান সেটা বলা অন্যায় নয়।”
বাম আমলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পর্যন্ত সিএবিকে (CAB) রাজনীতি দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টার কথা আগেও উল্লেখ করেছেন শাসকদলের নেতারা। এদিন ময়দানকে নিয়ে রাজনীতির তাস খেলা সিপিআইএম নেতাদের ক্রিড়ামন্ত্রী অরূপ মনে করিয়ে দেন, “কল্যাণ চৌবে এআইএফএফের (AIFF) প্রেসিডেন্ট, দুবারের বিজেপির প্রার্থী হয়ে গো-হারা হেরেছেন। ব্রিজভূষণ স্মরণ সিং কুস্তির (WFI) প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ক্রিড়াবিদরা তাঁর উপর প্রশ্ন তুলেছেন। তারপর তাঁকে অপসারিত করা হয়েছে।
তবে এই ইস্যুতে ময়দানে রাজনীতি করতে নেমে সিপিআইএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Mohammed Selim) দাবি করেন ময়দানে পরিবারতন্ত্রের। শূন্যে নেমে যাওয়া সিপিআইএমকে অরূপের উত্তর, “ওনারা মহাশূন্যে রয়েছেন। আমি এখনও মহাকাশে যাইনি। যেদিন যাব মহাকাশে সেদিন ওনাদের প্রশ্নের উত্তর দেব।” কার্যত তিনি বুঝিয়ে দেন জনবিচ্ছিন্ন বামেদের এই ধরনের মন্তব্যেই তাঁরা আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন।