CBI-এর বিরোধিতায় ডোরিনা ক্রসিংয়ে ধর্না কেন? প্রশ্ন তুলে চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চকে তুলোধনা কুণালের

সিবিআইয়ের (CBI) বিরোধিতা করেই ডোরিনা ক্রসিংয়ে ধর্নায় বসতে চায় অফ ডক্টর্স। কিন্তু ধর্মতলায় ধর্নার অনুমতি দেয়নি না কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। এবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে জুনিয়র ডাক্তারদের একাধিক সংগঠন। এই ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। প্রশ্ন তুলেছেন, সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরের সামনে ধর্না না দিয়ে ধর্মতলা কেন? বড়দিনের ছুটিতে বেশি ভিড় বেশি জমবে বলে?

৯০ দিনেও চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। ফলে জামিন পেয়েছেন সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল। এবার সিবিআইয়ের বিরোধিতা করে ১৭ থেকে ২৬ ডিসেম্বর ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে ধর্নায় বসতে চায় জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স। প্রাক বর্ষবরণ, বড়দিনে ভিড়ে ট্রাফিকের কারণ দেখিয়ে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। মঙ্গলবার হাইকোর্টে যাচ্ছে চিকিৎসকদের সংগঠন। অথচ আর জি করের তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের তদন্তে এরাই সিবিআই ডেকে এনেছিল।

ধর্নায় বসা নিয়ে ডাক্তারদের সংগঠনকে তীব্র কটাক্ষ করেন কুণাল। বলেন, “অতিরিক্ত টাকা থাকলে এরকম শীতকালীন পিকনিক করতে ইচ্ছে হয়। তাঁর কথায়, ওঁদের কাছে বিপুল টাকা আছে। তাই শীতকালে পিকনিকের ব্যবস্থা করছে। যাঁদের কাছে টাকা আছে তাঁরা শীতকালের গেট টুগেদার, পিকনিক করে। চিকিৎসকদের একাংশ সেই কাজই করছে।” এরপর কুণাল বলেন, “শিয়ালদহ আদালতে আর জি কর ঘটনার বিচার চলছে, তার অর্ধেক প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। রোজ শুনানি চলছে। সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। সুপ্রিম কোর্ট গোটা বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করছে। যত পক্ষ আছে তাদের আইনজীবীরা যা যা বলার সব বলেছে। সুপ্রিম কোর্ট বলছে বিচার প্রক্রিয়া একেবারে ঠিকঠাক চলছে। আর কিছুজন বলছে কলকাতা পুলিশ মানি না, শিয়ালদহ কোর্ট মানি না। এমনকী যে সিবিআইকে নেমন্তন্ন করে ডেকে নিয়ে এলো এখন বলছে তাদেরকেও মানি না।”

কটাক্ষ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরা পুরো হুজুগে নাচছে। সরকারি জায়গায় কর্মবিরতি করে স্বাস্থ্যসাথী দিয়ে প্রাইভেট থেকে প্রচুর টাকা পেয়েছে তাই শীতকালে পিকনিক করার পরিকল্পনা করছে।

আরও পড়ুন- CBI-এর বিরোধিতায় ডোরিনা ক্রসিংয়ে ধর্না কেন? প্রশ্ন তুলে চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চকে তুলোধনা কুণালের

_

_

_

_

_

_

_