মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের(Anil Deshmukh) বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলে উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি লিখেছিলেন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং(parambir Singh)। শুধু তাই নয়, নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য এই মামলার সিবিআই(CBI) তদন্ত চেয়ে শীর্ষ আদালতের(Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তবে তার সেই দাবি মানল না সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহার করে নিলেন পরমবীর। অন্যদিকে পরমবীরের বদলির মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই বদলি করা হল ৮৬ জন পুলিশ অফিসার।
শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সঞ্জয় কিষণ কৌল ও বিচারপতি আর সুভাষের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, পরমবীর সিংয়ের আনা অভিযোগগুলি গুরুতর হলেও প্রথমে হাইকোর্টের কাছে অভিযোগ জানানো উচিত ছিল। একইসঙ্গে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেও সুপ্রিম কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কথা বলা হয়নি কেন, সেই বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়। যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই শীর্ষ আদালতে মুখ পোড়ে প্রাক্তন ওই পুলিশ কমিশনারের। এরপরই পরমবীর সিংয়ের আইনজীবী মুকুল রোহতগির আর্জি প্রত্যাহার করে জানান, যে তিনি হাইকোর্টে আবেদন জানাবেন। আগামিকালের মধ্যেই যাতে মামলাটি হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করা হয়, সেই আবেদনও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:“খেলোয়াড় নয়, ধারাবিবরণীকার হয়ে গিয়েছেন”, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের
অন্যদিকে, মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক কান্ডের তদন্তে নেমে সেই মামলায় জাতীয় নিরাপত্তা আইন (UAPA) ধারা যোগ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। জানা গিয়েছে মুকেশ আম্বানির বাড়ি অ্যান্টিলিয়ার সামনে গাড়ি থেকে যে পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে তা কোনোভাবেই ছোট ঘটনা হিসেবে দেখা যায় না। এই ঘটনার পিছনে যোগাযোগের সন্দেহ উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারী সংস্থা যার জেরেই এই মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন ইউএপিএ ধারা যোগ করল এনআইএ। স্বাভাবিকভাবেই এই মামলায় ইউএপিএ ধারা যোগ হওয়ায় বিপাকে পড়বেন এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া পুলিশ আধিকারিক সচিন বাজে।