চাঁদের গহ্বরে বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম লিখলো ইসরো

এবার চাঁদের বুকে লেখা হল বাঙালির নাম। চন্দ্রযান–2’র পাঠানো চারটি গহ্বরের ছবির মধ্যে একটি গহ্বরের নাম রাখা হয়েছে “মিত্র গহ্বর”, প্রয়াত বাঙালি ভৌতবিজ্ঞানী শিশিরকুমার মিত্রর নামে। এমনটাই জানিয়েছে ইসরো।

টুইট করে ইসরো জানিয়েছে, গত 23 অগাস্ট চন্দ্রযান–2’র টেরেন ম্যাপিং ক্যামেরা থেকে পাঠানো চারটি গহ্বরের মধ্যে বাকি তিনটির নামকরণ করা হয়েছে “জ্যাকসন গহ্বর”, “ম্যাক গহ্বর” এবং “কোরোলেভ গহ্বর”।

প্রায় 4375 কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থিত ওই চারটি গহ্বর। তার মধ্যে জ্যাকসন গহ্বরের ব্যাস 71.3 কিলোমিটার। এটাই আপাতত চন্দ্রযান-2’র পাঠানো ছবির মধ্যে সব থেকে বড় গহ্বর। মিত্র গহ্বরের ব্যাস 92 কিলোমিটার। এখনও পর্যন্ত গহ্বরের গভীরতা জানতে পারেনি ইসরো।

বিজ্ঞানী শিশিরকুমার মিত্র রেডিও ফিজিক্স এবং অ্যাটমস্ফেরিক ফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। 1820 সালের 24 অক্টোবর হুগলির কোন্নগরে জন্ম। ছোট থেকেই ভৌতবিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ ছিল শিশিরকুমারের। আশুতোষ মুখার্জির আহ্বানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভৌতবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে গবেষণা করেন। সিভি রমনের সহকারী হিসেবে আলো নিয়ে গবেষণা করেন। তাঁর তথ্যেই সিভি রমন আলো নিয়ে তাঁর গবেষণা সংক্রান্ত বিষয়ে এগিয়ে নিয়ে যান।

1920 সালে প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে গবেষণা করেছিলেন। পরে দেশে ফিরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। আশুতোষ মুখার্জির সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌতবিজ্ঞানে বেতার সংক্রান্ত বিষয় সংযুক্ত করেছিলেন শিশিরকুমার মিত্র।

আরও পড়ুন-নারদ কাণ্ডে CBI এবার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কেডি সিংকে ম্যাথুর সামনে বসাচ্ছে

 

Previous articleBREAKING: অভিনেতা নিমু ভৌমিক প্রয়াত
Next articleকাটমানি খাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে