প্রতারক প্রেমিককে ধরতে গিয়ে দেশজোড়া সাট্টা চক্রের হদিশ পেল নিউ আলিপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে মোট সাতজনকে। পুলিশ সূত্রে খবর, 2017 সালে প্রেমিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার সাধারণ অভিযোগ দায়ের হয় নিউ আলিপুর থানায়।

জানা গিয়েছে, বারাণসীর বাসিন্দা প্রিয়া ধুসিয়া নামে এক তরুণীর অভিযোগ, বারাণসীরই বাসিন্দা হেমন্ত কুমার মৌর্য্যর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। প্রেমিকার থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা হাতায় সে। তখন কলকাতায় একটি মেসে থাকত ওই যুবক। বছর দু’য়েক পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে চলতি বছরের জুন মাসে হেমন্তর সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙেন তিনি। কিন্তু, টাকা ফেরত চাইতেই হেমন্ত ও তার বন্ধু রাকেশ পণ্ডিত ফোনে হুমকি দিতে শুরু করে। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। শুরু হয় তদন্ত।

আরও পড়ুন – ঋণের টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে মার খেলেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার

পুলিশ সূত্রে খবর, হেমন্ত কুমার মৌর্য্য, রাকেশ পণ্ডিত ও হুমকি দিতে ব্যবহৃত ফোন নম্বর, এই তিন সূত্র অবলম্বন করে তদন্তে ঝাঁপান তদন্তকারীরা। দু’জনের খোঁজখবর নিতে বারণসী রওনা দেয় একটি দল। কলকাতায় বসে হেমন্ত যে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তার বান্ধবীর থেকে টাকা নিত তার খোঁজ শুরু করে আরেকটি দল। দেখা যায় রাজারহাট গোপালপুরের বাসিন্দা মহম্মদ আক্রমের নামে অ্যাকাউন্টটি রয়েছে। এরপর ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে দিয়ে ডেকে পাঠানো হয় আক্রমকে। ব্যাঙ্কে আসতেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফ্রিজ করা হয় ওই অ্যাকাউন্টটি। ওই অ্যাকাউন্টে অনলাইনে প্রচুর লেনদেন হয়েছে বলে জানতে পারে পুলিশ।
আরও পড়ুন – জেলে গেলে ভাববো পরাধীন ভারতে আছি, স্বাধীনতার লড়াই লড়ছি: ছাত্রমহলে বার্তা মমতার
