ড্রাগের নেশায় আক্রান্ত মেয়েকে শিকল পরালেন মা! জানলে চোখে জল আসবে

মেয়ে মাদকাসক্ত। তাই তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন মা। তাঁর অভিযোগ, একাধিক বার সরকারি রিহ্যাবে মেয়েকে নিয়ে গিয়েও কোনও কাজ হয়নি। মেয়ে বারবারই আসক্ত হয়ে পড়ে ড্রাগের প্রতি। এত ড্রাগ কোথা থেকে পাচ্ছে সে, তা নিয়েও একাধিক বার খোঁজ-খবর করেছেন মা। কিন্তু সুরাহা হয়নি কিছুতেই। শেষমেশ মেয়েকে বাঁচাতে তাকে বেঁধে রাখা ছাড়া অন্য উপায় পাননি অমৃতসরের বাসিন্দা।

খবর পেয়ে সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন। অমৃতসরের সাংসদ ও কংগ্রেস নেতা গুরজিৎ সিং দেখা করেন ওই পরিবারের সঙ্গে। প্রতিশ্রুতি দেন, মেয়েটির সব রকম চিকিৎসার দায়িত্ব নেবেন বলে। তিনি বলেন, “এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমি চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছি, বাড়িতেই মেয়েটির সব রকম চিকিৎসা করার জন্য।”

আরও পড়ুন-তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র শীতলকুচি

মাদকাসক্ত মেয়েটির মায়ের দাবি, “আমি তিন বার ওকে সরকারি রিহ্যাবে নিয়ে গেছি। কিন্তু প্রতি বারই চার-পাঁচ দিন করে রাখার পরে ওরা ছেড়ে দেয়। এক জন মাদকাসক্ত মেয়ে কি কখনও চার-পাঁচ দিনে সেরে যেতে পারে! আমি নিজে বরং চিকিৎসকদের অনুরোধ করেছি, ওকে আরও কিছু দিন ভর্তি রাখার জন্য। কিন্তু কেউ শোনেনি। লাভও হয়নি।”

প্রসঙ্গত, ড্রাগের নেশায় তরুণ সমাজ ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পড়ছে বলে পঞ্জাবের রাজ্য কমিটির একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে সম্প্রতি। মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিং এই বছরের গোড়াতেই ঘোষণা করেছেন, ড্রাগের ব্যবসা বন্ধ করতে কড়া উদ্যোগ নেবে রাজ্য। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই 28 হাজার ড্রাগ পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে প্রশাসন। কিন্তু ড্রাগের নেশায় মহিলারা কতটা আক্রান্ত, তার কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই সরকারের কাছে। এমনকী মেয়েদের ড্রাগের নেশা থেকে মুক্ত করার রিহ্যাবের সংখ্যা মাত্র একটি।

তথ্য বলছে, গত দু’বছরে পঞ্জাবে দেড়শো জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ড্রাগের নেশার কারণে। পাশাপাশি অন্য একটি তথ্য প্রকাশ করেছে এইমসের ড্রাগ ট্রিটমেন্ট সেন্টা। ড্রাগের নেশায় আক্রান্তদের চিকিৎসার খরচ আগে যেখানে ছিল 3.2 লক্ষ টাকা, সেটাই এখন বেড়ে হয়েছে 7.2 লক্ষ টাকা।

আরও পড়ুন-এবার ইংরেজবাজার পুরসভায় ডামাডোল! চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব কাউন্সিলরদের

 

Previous articleঅন্ডালের খনিতে দুর্ঘটনা, জখম 5 শ্রমিক
Next articleমিসবার থেকে হঠাৎই ক্যামেরা ঘুরল ওয়ালশের দিকে