দুর্গোৎসবের আগে ক্রিকেট উৎসবে মেতে উঠতে চলেছে পুজো কমিটিগুলি

পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। তবে এবার পুজোর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকতে চলছে ক্রিকেট। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব যদি দুর্গোৎসব হয়, তাহলে ভারতের শ্রেষ্ঠ উৎসব ক্রিকেট। ব্যাট-বলের এই লড়াইকে ক্রীড়াপ্রেমী মানুষরা নিজেদের ধর্ম বলে মনে করে। আর পুজোর প্রাককালে এবার শুরু হতে চলেছে ক্রিকেট উৎসব। শহরের মোট 16টি পুজো কমিটি নিয়ে এই টুর্নামেন্ট শুরু হবে।

আগামী 14 ও 15 সেপ্টেম্বর কলকাতা ও হাওড়ার সেরা পুজো কমিটিগুলি নিয়ে এই টুর্নামেন্ট শুরু হবে। শুক্রবার বিকেলে স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবে ঢাক বাজিয়ে এই টুর্নামেন্টের সূচনা করেন রাজ্যের ক্রীড়া উপমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সৌরাশিস লাহিড়ী এবং বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার অরূপ ভট্টাচার্য।

যে পুজো কমিটিগুলি এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশ নেবে সেগুলি হল, সুরুচি সঙ্ঘ, চেতলা অগ্রণী, কলেজ স্কোয়্যার, কালীঘাট মিলন সঙ্ঘ, গড়িয়া মিতালি সঙ্ঘ, বেহালা নতুন দল, দমদম পার্ক ভারতচক্র, সমাজসেবী, কুমোরটুলি, হাতিবাগান, দেশপ্রিয় পার্ক, রাজডাঙা, জটাধারী পার্ক প্রমুখ পুজো কমিিট।

এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার গোপাল বসু ও বি দাশগুপ্ত ক্রীড়া সরঞ্জাম সংস্থার কর্ণধার সোমনাথ দাশগুপ্তের কথা তুলে ধরেন। লক্ষ্মীরতন বলেন, ‘আমি ভুলে যাইনি এই দুই ব্যক্তিকে। গোপাল স্যর না হলে আমি ক্রিকেটার হতে পারতাম না। আর সোমনাথদা ১২ বছর বয়সে আমাকে ব্যাট না দিলে ক্রিকেটার হতাম কিনা জানি না। এই দুজনকে সম্মান জানানোর জন্য এই প্রতিযোগিতায় দুটো ট্রফি উৎসর্গ করা হবে।’ সুতরাং, সব মিলিয়ে দুর্গোৎসবের আগে এই ক্রিকেট উৎসবও জমে উঠতে চলেছে, তা বলাই যায়।

Previous articleশোভন-বৈশাখীর কান্ডকারখানায় ক্ষোভ বাড়ছে রাজ্য বিজেপিতেই
Next articleযেমন বলা হচ্ছে কাশ্মীর আদৌ তেমন নয়, শ্রীনগর থেকে ফিরে বললেন ইয়েচুরি