EXCLUSIVE: সুব্রত ভট্টাচার্যের কথায় উঠে এল ডার্বি নিয়ে আবেগের অভাব

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। চলছে শেষ মুহূর্তের কাউন্টডাউন। ইতিমধ্যেই ফুটবলপ্রেমীরা যুবভারতীমুখী। সকলের যেন আজ একটাই ডেস্টিনেশন, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণ। রবিবাসরীয় ডার্বি আবেগে ভেসে উঠেছে শহর। ফুটবল জ্বরে কাঁপছে আট থেকে আশি লাল-হলুদ, সবুজ-মেরুন সর্মথকরা। ডার্বির এই শেষ লগ্নে এসে প্রাক্তন বাগান তারকা সুব্রত ভট্টাচার্যের কথায় উঠে এল ডার্বি নিয়ে আবেগের অভাব, উঠে এল বাংলার দুই প্রধান দল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানে বাঙালি ফুটবলারের অভাব।

সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিগত কয়েক বছর ধরে ডার্বির যে আকর্ষণ বা আবেগ ছিল, তা এখন আর সেইভাবে চোখে পড়ে না। দুই দলের মধ্যে বাঙালি ফুটবলারের আধিক্য অনেক কম বা নেই বললেই চলে। উল্টে বিদেশি ফুটবলারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ওদের মধ্যে সেই আবেগটা কাজ করে না, ডার্বি খেলতে নেমে যেটা আমাদের কাজ করত। আমরা যখন ডার্বি খেলতাম আমাদের একটা সামাজিক দায়বদ্ধতার ব্যাপার ছিল। হেরে গেলে ভাবতাম কী করে রাস্তায় মুখ দেখাব? পুজোয় কী করে বেরোব? পাড়ার লোককে কী জবাব দেব? কিন্তু এখনকার যেসব বিদেশি ফুটবলার নিয়ে সুসজ্জিত রয়েছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান, তাদের মধ্যে এই আবেগটা কাজ করে না। ওদের কাউকে জবাব দেওয়ার ব্যাপার নেই, কোনও সামাজিক দায়বদ্ধতাও নেই। ওরা শুধু অঙ্ক কষে আজকের খেলাটা খেলতে নামবে। ওদের কাছে একটাই লক্ষ্য 3 পয়েন্ট তোলা। তাহলেই চ্যাম্পিয়নের দিকে এগিয়ে যাবে। কিন্তু হারলে কী হবে, সেই আবেগ বা সেই ইমোশনটা আজকের ফুটবলারদের মধ্যে নেই। এমনকি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকদের মধ্যেও যেন সেই আবেগের ভাঁটা পড়েছে। আগে এদিন সকাল থেকে হাটে-বাজারে, পাড়ায়, রকে, ক্লাবে এক উৎসবের মেজাজে চোখে পড়তো। কিন্তু এখন সেসবের বালাই নেই। সকাল থেকে শুধু টিভিতে কয়েকটি অনুষ্ঠান বা চ্যাট শো দেখিয়ে ডার্বির উত্তেজনা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু আদৌ তা ফিরবে কিনা, তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।’

আরও পড়ুন-অসুস্থ অশোক ভট্টাচার্যের সাক্ষাতে মহারাজ

পরিসংখ্যানের দিক থেকে ডার্বিতে বেশি জয়ের মুখ দেখেছে ইস্টবেঙ্গল। সেক্ষেত্রে কি আজকের ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে রাখবেন প্রাক্তন বাগান তারকা? এই প্রশ্ন করা হলে সদ্য প্রাক্তন হওয়া মহামেডান কোচ বলেন, ‘পুরনো ইতিহাস ঘেঁটে লাভ নেই। পরিসংখ্যান কোনওভাবেই গুরুত্ব পায় না। কারণ, পরিসংখ্যান কী ছিল বা কী আছে, সেসব তো এখনকার বিদেশি ফুটবলাররা দেখেনি। তাই ওরা এসব নিয়ে মাথা ঘামাবে না। পরিসংখ্যানের কথা বলতে গেলে তো আমি পিকে ব্যানার্জি, শৈলেন মান্নাদের থেকে অনেক বেশি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের হয়ে খেলেছি। কিন্তু তা বলে কি আমি ওঁনাদের থেকে বড় ফুটবলার? তা তো নই। তাই এক্ষেত্রে পরিসবগখ্যান গুরুত্ব পাবে না।’

তবে বাঙালি ফুটবলারের অভাব, বিদেশি ফুটবলারদের আধিক্য বেশি, কোচ বিদেশি এইসব নিয়ে কথা বললেও টেকনিক্যাল জায়গা থেকে রবিবাসরীয় 368তম এই ডার্বিতে মোহনবাগানকেই এগিয়ে রাখলেন সুব্রত ভট্টাচার্য। এখন তাঁর এই ভবিষ্যদ্বাণী মেলে কিনা, সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন-রবিবাসরীয় ডার্বি দেখবে স্প্যানিশ ডুয়েল, পরিসংখ্যান বলছে এগিয়ে মশাল বাহিনী

 

Previous articleবর্ণ অনন্য,”কিছু অতীত আগামীর জন্য” এক অভিনব প্রয়াস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে
Next articleমেয়ের সামনেই মাকে গণধর্ষণ