মেট্রো-বিপর্যয় সামাল দিতে মুম্বই থেকে এলেন সুড়ঙ্গ-বিশেষজ্ঞরা

বৌবাজারের মেট্রো-বিপর্যয় সামাল দিতে মুম্বই থেকে আনা হল সুড়ঙ্গ-বিশেষজ্ঞদের। এসেছেন ভূতত্ত্ববিদও। সোমবার দুপুরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নমুনা সংগ্রহ করেন। বিশেষজ্ঞদের ধারনা, এখানে ‌প্রধান সমস্যা কাদাগোলা জল। যা কোনওভাবেই আটকানো যায়নি। হুড়হুড় করে জল ঢুকতে শুরু করে। সরতে শুরু করে বাড়ির নীচের মাটির স্তর। ফলে বাড়িগুলি বসে যেতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বৈঠক করেন মেট্রোর ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে। শিয়ালদামুখী এই সুড়ঙ্গে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে টানেল বোরিং মেশিনের কাজ। প্রাথমিকভাবে মেট্রো আধিকারিকদের সন্দেহ, জলস্তর ‘‌অ্যাকুইফার’‌–এ ধাক্কা লেগেছে, সে কারনেই অতিরিক্ত জল ঢুকে এই বিপত্তি। প্রশ্ন উঠেছে, সমীক্ষায় গলদের জন্যই কি এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে?‌ ঘটনায় ভেঙে পড়েছে একের পর এক বাড়ি। আরও বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এদিকে, জল ঢোকা বন্ধ করতে উল্টোদিক থেকে জলের চাপ দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। আপাতত দু’‌ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফাটল বন্ধ করতে গ্রাউটিং এবং কংক্রিটাইজেশনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে। মেট্রো সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধে থেকেই সুড়ঙ্গে জল ঢোকা শুরু হয়। যে রিংগুলি বসানো হয়েছে, তার ফাঁকগুলি আটকানোর জন্য সিমেন্টের সঙ্গে বালি এবং কিছু রাসায়নিক মিশিয়ে গ্রাউটিং করা শুরু হয়। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি। জল বাড়তেই থাকে। দ্রুত পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। এরপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কাজ বন্ধ রাখা হবে। কিন্তু ততক্ষণে মাটির ওপরে ঘটতে শুরু করেছে বিপর্যয়।

Previous articleNews@Dinner
Next articleরাতেই অর্জুন সিংকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন সব্যসাচী দত্ত