রোজ ভ্যালি তদন্তে পুজোর আগেই সম্ভবত CBI বড়সড় পদক্ষেপ করতে চলেছে। রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্তে সেভাবে ‘কাজ’ না করায় দিনকয়েক আগে CBI-এর শীর্ষস্তরের নির্দেশে আচমকাই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তদন্তকারী অফিসার চোজম শেরপা’কে। এই শেরপার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো, যে কোনও কারনেই হোক তদন্তে গা লাগাচ্ছেন না তিনি। ওদিকে CBI-এর ওপর চাপ বাড়ছিলো দ্রুত এই মামলার তদন্ত শেষ করে চার্জ শিট পেশ করার। রোজ ভ্যালি মামলার প্রথম তদন্তকারী অফিসার ব্রতীন ঘোষাল যে দ্রুততায় তদন্তের কাজ চালাচ্ছিলেন, শেরপা সেই স্পিড কমিয়ে দেন। ব্রতীন ঘোষালই এই মামলায় গ্রেফতার করেছিলো সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস পালকে। CBI কর্তা ব্রতীন ঘোষাল স্বাস্থ্যের কারণে সরে দাঁড়ানোর পরই তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন চোজম শেরপা।
CBI-এর এই ‘নীরবতা’ নিয়ে জল্পনা ওঠে চরমে। এ সব কারনেই হঠাৎ সরিয়ে দেওয়া হল চোজম শেরপাকে।
তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন, CBI-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সুরিন্দর মল্লিক আর তাঁকে সহযোগিতা করবেন DSP পদমর্যাদার 2জন অফিসার। এঁদের হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে রোজভ্যালি কাণ্ডের পুরো তদন্ত প্রক্রিয়া। এই টিমই ঠিক করবেন কোন পথে আগামীদিনে রোজভ্যালি তদন্ত চলবে বা কোন কোন প্রভাবশালীকে CBI জেরা করবে। CBI-মহলে সুরিন্দর মল্লিক ‘টাফ অফিসার’ হিসাবে পরিচিত। তিনিও তৈরি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে।

আরও পড়ুন- চাঁদের বুকেই রয়েছে বিক্রম! তবে খোঁজ মিললেও যোগাযোগ হয়নি
ওদিকে, দিল্লির নির্দেশে নারদ কাণ্ডের জাল CBI প্রায় গুটিয়ে এনেছে। খুব শীঘ্রই এই মামলার চার্জশিট পেশ করা হবে। আর তার মাঝেই রোজভ্যালি কাণ্ডে পূর্ণোদ্যমে CBI ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে। সূত্রের খবর, সদ্য তদন্তকারী অফিসারের দায়িত্ব পাওয়া CBI-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সুরিন্দর মল্লিক ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, পুজোর আগেই রোজ ভ্যালি কাণ্ডে অভিযুক্ত কয়েকজন প্রভাবশালী রাঘববোয়ালকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হতে পারে। CBI সূত্র জানাচ্ছে, রোজ ভ্যালির তদন্তে এখন শুধু বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর জিজ্ঞাসাবাদ-ই বাকি। ‘প্রভাবশালী’-দের হ্যাণ্ডেল করার বিশেষ দক্ষতা আছে সুরিন্দর মল্লিকের। দ্রুত কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি। রাজনৈতিক মহল এই কারনেই মনে করছে, পুজোর আগেই
জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব তথা গ্রেফতারি সেরে ফেলতে চাইছেন সুরিন্দর মল্লিক।

আরও পড়ুন- বৈঠকে নেই মহুয়া, অস্বস্তি বাড়ল রাজীবের

CBI সত্যিই এমন পদক্ষেপ করলে, বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা এবং অন্য ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত একাধিক অভিযুক্তের কপালে দুর্ভোগ নেমে আসতে পারে।
