মুকুল রায়ের কোনও কনট্রিবিউশন নেই, শোভন এখন জিরো, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

পর পর ‘ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ’ ঘটালেন বঙ্গ-বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সংবাদমাধ্যমে(এখন বিশ্ববাংলা সংবাদে নয়) তিনি নিজের দলের নেতাদের সম্পর্কে বেনজির কিছু মন্তব্য করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন।

কী বলেছেন তিনি ?

■ মুকুল রায়ের কোনও কনট্রিবিউশন নেই, রেপুটেশন নেই। এটাই হচ্ছে বাস্তব। কোনও সংগঠন বা কর্মী ওঁর সঙ্গে নেই। যাঁরা মুকুল রায়ের সঙ্গে ঘোরে তাঁরাও সব দালাল, কাটমানি পার্টি। তাঁরা আমার সঙ্গেও ছবি তোলে অনেক সময়। আমাকে মুকুল রায় বলেছিল, 50 হাজার লোক নিয়ে আসবে, 500 লোকও আনতে পারেনি। এঁরা পার্টিকে জিতিয়ে দেওয়ার মতো নয়।
■ যাঁরা এসেছে তাঁদের মধ্যে অ্যাসেট হিসেবে এসেছে অর্জুন সিং। চাপ নিয়ে জিতেছে। অর্জুন না থাকলে বারাকপুর আমরা জিততে পারতাম না। তবে পার্টি সিস্টেম মানে না, নিজের স্টাইলে চলে। কিন্তু মুকুলদার কোথাও কিছু নেই। মুকুল রায়ের থেকে নিশীথ প্রামাণিকের গুরুত্ব বেশি আছে।
■ শোভন এখন জিরো হয়ে গেছে। নিজের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। বৈশাখী পুরো শোভনকে কব্জা করে নিয়েছে।বৈশাখীর কব্জা থেকে বেরোতে না পারলে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আমাদের কোনও কাজে লাগবে না।
■ আমার মিডিয়া সাপোর্ট দরকার আছে। বিতর্কিত কথা বলি বলে মিডিয়া দেখায়। আমি মিডিয়াতে থাকলে আমার পার্টিও থাকবে প্রচারের মধ্যে। তাছাড়া অনেক সময় সাধারণ লোকজন বিতর্ক এড়িয়ে চলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে হলে বিতর্ক এড়িয়ে গেলে চলবে না। এককাট্টা হতে হবে।

এখানে যেমন কেউ অমর্ত্য সেন নিয়ে কিছু বলতেই ভয় পেতেন। আমি বললাম, দেখলাম অনেকেই আমাকে সমর্থন করছেন। এই যে গত কয়েক মাসে আমার গাড়িতে এত জায়গায় অ্যাটাক হয়েছে, গোলমাল হয়েছে, আমি চাইলে 50 শতাংশ ক্ষেত্রে তা এড়িয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু আমি ইচ্ছে করেই সেগুলো এড়িয়ে যাইনি। গণ্ডগোল হয়েছে, মিডিয়া খবর করেছে। তাতে আমাদের সুবিধেই হয়েছে। বিতর্কের মধ্যে থাকলে প্রচার পাওয়া যায়, সেটা আমাদের দরকার আছে।

আরও পড়ুন-রাষ্ট্রপুঞ্জে একই দিনে বক্তৃতা দেবেন মোদি-ইমরান, আন্তর্জাতিক মহলে চাঞ্চল্য

Previous articleবাড়ি ফিরলেন বুদ্ধদেব
Next articleবিচিত্র নজির ! চাঁদের বুকে প্রথম এ কাজটি করেছিলেন ইনিই…!