ঝাড়খন্ড পুলিশের পরোয়ানা, আইনি তৎপরতার গেরোয় অনিশ্চিত ছত্রধরের মুক্তি

সেপ্টেম্বরে জেল থেকে মুক্তি কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ল ছত্রধর মাহাতোর।ফলে নতুন করে আইনজীবীর কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে পরিবার। এমাসের শেষদিকেই তাঁর চলতি সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাতে বাধ সাধতে চলেছে ঝাড়খন্ডের চাকুলিয়া থানার একটি মামলা। সম্প্রতি ঘাটশিলা থেকে রাজ্য কারা দফতরের কাছে ছত্রধরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা এসে পৌঁছেছে। তাতে বলা হয়েছে, ছত্রধর মাহাতোকে এবার ঝাড়খন্ড পুলিসের হাতে তুলে দিতে হবে। নিয়মমত, কাঁটাপাহাড়ি বিস্ফোরণ মামলায় কারামুক্তির পর তাঁকে এরপর ঝাড়খন্ড পুলিসের হাতে তুলে দিতে বাধ্য কারা দফতর।

2009 সালের 26 সেপ্টেম্বর লালগড়ে ধরা পড়েন তৎকালীন “পুলিসি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটি”-র নেতা ও তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ছত্রধর মাহাতো। কাঁটাপাহাড়িতে পুলিসকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানোর মামলায় ইউএপিএ আইনে অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। প্রথমে মেদিনীপুর আদালতে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হলেও সাজার মেয়াদ কমিয়ে 10 বছর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মত এমাসেই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ছত্রধরের। জঙ্গলমহলের হারানো জমি ফিরে পেতে মুক্তির পর তাঁর পুরনো প্রভাবকে কাজে লাগাতে তৎপর ছিল শাসক তৃণমূলের একাংশও। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিজেপি-শাসিত ঝাড়খন্ডে চাকুলিয়া থানার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তাঁকে হাজির করানোর নির্দেশ জারি করেছে ঘাটশিলা আদালত। ফলে আপাতত আইনি জটে আটকে ছত্রধর মাহাতোর মুক্তি।

Previous articleAICC-র জাতীয় মুখপাত্র হলেন প্রণব-কন্যা শর্মিষ্ঠা
Next articleনজরে INX মামলা: ইন্দ্রাণী জেরা করবে CBI