দুরন্ত ভারত, গুরপ্রীতের দস্তানা-ই রুখে দিল কাতারকে

ভারত – 0 : কাতার – 0

গুয়াহাটি থেকে দোহার ভৌগলিক দূরত্ব 4,010 কিলোমিটার। মাত্র ছয় দিনের ব্যবধানে গুয়াহাটির ক্লেশ ঘুচিয়ে দোহার মাটিতে গোটা ভারতের ফুটবলপ্রমীদের স্টিমাচের ছেলেরা বুঝিয়ে গেল, এ ভারতকে নিয়ে স্বপ্ন দেখাই যায়।

ম্যাচটা ছিল ফিফা ক্রমতালিকায় 62 নম্বরে থাকা কাতারের সঙ্গে 103 নম্বরে থাকা ভারতের। চোটের কারণে মঙ্গল-সন্ধ্যায় নামেননি সুনীল ছেত্রী। আগের ম্যাচেই ওমানের কাছে হারতে হয়েছিল ব্লুজদের। তার ওপর দোহায় প্রতিপক্ষ কাতার মানে কতটা আতঙ্ক তৈরি হতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে ভারত-কাতার ম্যাচের আগে অতি বড় ভারতীয় সমর্থকও মনে করেননি, গুরপ্রীতরা নিজেদের পারফর্ম্যান্স এই উচ্চতায় পৌঁছে দেবেন। কাতারকে শুধু রুখে দেওয়া কেন, ম্যাচটা জিততেও পারত ইগর স্টিমাচের ছেলেরা।

মঙ্গল-সন্ধ্যায় সুনীল ছেত্রীকে বাইরে রেখেই দল সাজিয়েছিলেন ভারতের ক্রোট বিশ্বকাপার ইগর স্টিমাচ। ফলে কাতারের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের যোগ্যতানির্ণায়ক ম্যাচে বাড়তি দায়িত্ব ছিল সন্দেশ ঝিঙ্গানের উপর। গোটা ম্যাচে এদিন যেন দুর্ভেদ্য হয়ে উঠেছিলেন গুরপ্রীত। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটি সিটার যেভাবে বাঁচান গুরপ্রীত, গোটা দেশের ফুটবল মহল কুর্ণিশ জানাচ্ছে পাঞ্জাব কি পুত্তরকে। ওই সিটারগুলির একটিও গুরপ্রীতকে পরাস্ত করলে দোহা থেকে হাসি মুখে ফেরা হত না ভারতের। উজ্জীবিত ফুটবল উপহার দেন উদান্ত সিং, আদিল খানরাও। ম্যাচের শেষলগ্নে উদান্ত সুযোগটা মিস না করলে হয়তো ফলাফলটা ভারতের পক্ষেই যেত। দোহার বিন হামাম স্টেডিয়ামে ম্যাচশেষে ভারতের ক্রোট কোচ জড়িয়ে ধরেন ছেলেদের। আসলে শক্তিশালী কাতারের বিরুদ্ধে নামার আগে ছেত্রী-গুরপ্রীতদের গুরু তো বলেইছিলেন, “যাই হোক না কেন, ভারত সাহসী ফুটবলই খেলবে।”

মঙ্গলবার সত্যিই দোহায় চরম সাহসী ফুটবল খেলল ভারত। 2022-এর বিশ্বকাপ আয়োজক দেশকে বুঝিয়ে গেল, বিশ্বকাপ আর ভারত – খুব বেশি দূরত্ব আর নেই।

Previous articleআত্মঘাতী পুলিশ কর্মী, কারণ নিয়ে ধন্ধ
Next article34 লক্ষ কৃষকের হাতে ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের চেক তুলে দেবেন মমতা