ভারতে হামলা চালাতে পাক সেনা-জঙ্গির “কোড ল্যাঙ্গুয়েজ”! জল ঢাললো ভারতের গোয়েন্দারা

নরেন্দ্র মোদি সরকার জম্মু-কাশ্মীরের ওপর থেকে 370 ধারা বিলোপ করার পর থেকেই পাকিস্তান ক্ষোভে ফুঁসছে। কিছুতেই তারা মেনে নিতে পারছে না। তারপর থেকেই কোনও না কোনও ভাবে ভারতের উপর হামলা চালানোর ছক কষছে। এক্ষেত্রে পাক সেনা জঙ্গিদের নতুন করে মদত দেওয়া শুরু করেছে। যে তথ্য ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে। যার দরুন সতর্কতা হিসেবে পাক সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। কিন্তু এবার যে তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এলো, তা রীতিমতো চাঞ্চল্যকর। চোখ কপালে তোলার মতো।

জঙ্গিদের সামনে রেখে সীমান্তে যখন পাকিস্তান নাশকতার ছক কষছে এবং আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক জড়ো করছে, ঠিক তখনই বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কী সেই সাফল্য? পাকিস্তান সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের কোন “গোপন” অর্থাৎ “কোড ল্যাঙ্গুয়েজ” বা “সাঙ্কেতিক ভাষা”-তে কথা হয়, তা হাতে পেয়ে গিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দারা।

যতটুকু জানা গিয়েছে, তাতে মূলত জম্মু ও কাশ্মীরে নাশকতা ছড়ানোর পরিকল্পনাতে এই ছদ্মবেশে ঢুকে পড়া, হামলা করা এবং পালিয়ে আসার ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে বিশেষ এই “কোড ল্যাঙ্গুয়েজ” ব্যবহার করবে পাক সেনা ও জঙ্গিরা। কিন্তু সেগুড়ে বলি! আপাতত ভারতের হাতে চলে এসেছে সেই সঙ্কেত!

কিন্তু কিরকম সেই “কোড”?‌ পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলিকে চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রেও সাঙ্কেতিক ভাষা ব্যবহার করা হয়। যেমন-66/88-এর মানে জৈশ–ই–মহম্মদ, A3 মানে লস্কর–ই–তৈবা আর D9 মানে আল বাদর।ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, গত 12 অগস্টের পর থেকে এই
সাঙ্কেতিক ভাষাতেই দু’‌পক্ষের কথোপকথন চলছে।

পাকিস্তানের সেনা এবং তাদের মদত লপুষ্ট জঙ্গিরা এফএম ট্রান্সমিশন স্টেশন ব্যবহার করে বার্তা আদান-প্রদান করে থাকে। এই স্টেশন রয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। আর সেটা জেনেই সম্প্রতি ভারতের পক্ষ থেকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সিগন্যালের রেডিও স্টেশন বসানো হয়েছে সীমান্তে। তাতেই বাজিমাত! এখান থেকেই সাঙ্কেতিক ভাষা ধরা পড়েছে ভারতের র‌্যাডারে।

এরপির ভারতীয় গোয়েন্দারা সেই সাঙ্কেতিক ভাষা পরীক্ষা করে জানতে পারে জঙ্গিদের সঙ্গে কথোপকথনের সুবিধার্থে এবং অপারেশন গোপন রাখার ক্ষেত্রে এই পথ অবলম্বন করা হয়েছে পাক সেনারা পক্ষ থেকে। যা এখন ভারতের নখদর্পণে!

Previous articleআপনি কি ট্রেনে যাতায়াত করেন? তাহলে এখন থেকে ভুলেও এই কাজটি করবেন না
Next articleরাজীব কুমার মামলার শুনানি শেষ, রায়দান স্থগিত রেখেছে হাইকোর্ট