প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ‘অন দ্য ফিল্ড’ নজরে রোহিত-বিরাট দ্বৈরথ

বিরাট কোহলি বনাম রোহিত শর্মা – এমনিতেই বিতণ্ডার আগুন জ্বলছে ভারতীয় ক্রিকেটে। পুড়ে ছাই টিম ম্যানেজমেন্টের অনুশাসন, শৃঙ্খলা। সপ্তাহ খানেক ধরেই বাইশ গজের দুনিয়ায় কোহলি-শর্মা বিবাদ শিরোনামে। এ রোজনামচা থেকে মুক্তি পেতে না পেতেই ফের নজরে দু’জনের আরও এক দ্বৈরথ। তবে এ চ্যালেঞ্জ ক্রিকেটীয়। তাই অপার শান্তি আসমুদ্র হিমাচলের।

রবিবাসরীয় ধর্মশালায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি-20 ম্যাচে নামছে শাস্ত্রীর দল। ইতিমধ্যেই হিমাচলের হৃৎপিণ্ডে পৌঁছে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে গিয়ে সব বিভাগে ক্যারিবিয়ানদের ‘হোয়াইট ওয়াশ’ করে এসেছে বিরাট বাহিনী। ফলে টগবগ করেই ফুটছে মেন ইন ব্লু। এবার ক্রোনিয়ে-রোডসের দেশকে নিজেদের শক্তি-সামর্থ বুঝিয়ে দেওয়ার পালা কোহলিদের সামনে।

এই পরিস্থিতিতে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা মহারণের চেয়েও যেন আরও বেশি প্রকট হতে চলেছে রোহিত-বিরাট দ্বৈরথ। সবুজ গালিচায়, বাইশ গজে বিরাট-রোহিত ক্রিকেটীয় দ্বৈরথ দেখতে মুখিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব। বেশ কিছু রেকর্ডের সদর দরজায় দাঁড়িয়ে ভারত অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়ক। ‘চিচিং ফাঁক’ যেন সময়ের অপেক্ষা।

আরও পড়ুন – ভারতে অনূর্ধ্ব-17 বিশ্বকাপ শুরু 2 নভেম্বর

সর্বাধিক রানের দ্বৈরথ

এই মুহূর্তে টি-20 ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক আঙিনায় সর্বাধিক রানের পালক রোহিতের মুকুটে। 88টি ইনিংসে রোহিতের সংগ্রহ 2422 রান। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক টি-20 তে এখনও পর্যন্ত 65 ইনিংসে কোহলির ঝুলিতে 2369 রান। অর্থাৎ দু’জনের মধ্যে মাত্র 53 রানের ব্যবধান। 2007 সাল থেকে আন্তর্জাতিক টি-20 খেলে আসছেন রোহিত। অন্যদিকে 2010-এ ভারতের জার্সিতে প্রথম টি-20 ম্যাচটি খেলার সুযোগ পান বিরাট। তবে ইনিংসের পরিসংখ্যানে নয়, বরং রানের প্রেক্ষিতে এখনও এগিয়ে রোহিত। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে স্বভাবতই আরও বেশি রান করে নিজের লিড বাড়াতেই চাইবেন তিনি। আর বিরাট নিশ্চয়ই সর্বাধিক টি-20 রানের মালিক হতে ঝাঁপাবেন। ফলে এ দ্বৈরথ যে জমকালো হতে চলেছে, তা ভালোই বুঝছে ক্রিকেট দুনিয়া।

সবচেয়ে বেশি ম্যাচ

টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে এখনও পর্যন্ত টি-20 তে সবচেয়ে বেশি 98টি ম্যাচ খেলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ক্যারিবিয়ান সফরের পাশাপাশি এই সিরিজ থেকেও আগেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন মাহি। আন্তর্জাতিক টি-20 তে ধোনির সবচেয়ে বেশি ম্যাচের রেকর্ড ভাঙার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রোহিত। তাঁর ঝুলিতে 96টি ম্যাচ। 2007-এর টি-20 বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যুবরাজের সেই ছয়-ছক্কার ঐতিহাসিক ম্যাচেই অভিষেক ঘটেছিল রোহিত শর্মার। এবার প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে চোট-আঘাত না পেয়ে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেললেই সর্বাধিক ম্যাচের হিসেবে পয়লা নম্বরে উঠে আসবেন মহারাষ্ট্রের তনয়। ধর্মশালার পরে দু’টি টি-২০ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে মোহালি এবং বেঙ্গালুরুতে।

গর্বের অধিনায়ক

এখনও পর্যন্ত নিজের দেশে কোনও টি-20 সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি ভারত। এর আগে 2015-তে ভারত সফরে এসেছিল প্রোটিয়ারা। তিন ম্যাচের সে সিরিজে প্রথম দু’টি ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছিল। শেষ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে বাতিল হয়। ফলে সিরিজ-শিরোপা প্রোটিয়াদের পকেটেই যায়। এ ছাড়াও আইসিসি-র কোনও টুর্নামেন্টে দুই দল ভারতের মাটিতে কখনও খেলেনি। এই পরিস্থিতিতে প্রোটিয়াদের একটি টি-20 ম্যাচে হারালেও বিরাট কোহলিই হবেন প্রথম জয়ী অধিনায়ক। আর সিরিজ জিতলে তো কেল্লাফতে! দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম সিরিজজয়ী ভারতীয় অধিনায়কের খেতাবটিও হবে বিরাটের চরম প্রাপ্তি।

আরও পড়ুন – সৌরভকে বিচারপতি জৈনের পাঠানো চিঠি নিয়েই ধোঁয়াশা

Previous articleসৌদি আরবের জ্বালানি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা
Next articleস্নায়ু-শল্যবিশেষজ্ঞ ডাঃ আরপি সেনগুপ্তের নামে সড়ক উদ্বোধন বাংলাদেশে