স্বামীর মঙ্গল কামনায় আসানসোলে পুজো দিলেন নমোর স্ত্রী, জানলই না বিজেপি নেতৃত্ব

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন। আর সেই উপলক্ষে সোমবার স্বামীর মঙ্গল কামনায় আসানসোলের কল্যানেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদির স্ত্রী যশোদা বেন।

সোমবার বেলা 12 টা 45 মিনিট নাগাদ তিনি কল্যানেশ্বরী মন্দিরে ঢুকে পুজো দেন। মা কল্যানেশ্বরী মন্দির ও কল্যানেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে রওনা দেন ধানবাদের উদ্দেশে। কড়া পুলিশি প্রহরায় তিনি এদিন মন্দিরে আসেন। এসিপি পশ্চিম শান্তব্রত চন্দ, সালানপুর-কুলটি এই দুই থানারওসি,  চৌরঙ্গি  কল্যানেশ্বরী দুই ফাঁড়ির আইসি ও ধানবাদ ডিসি বিজয় কুমার-সহ নিরষা থানার ওসি ও মাইথন থানার আইসি পুলিশ আধিকারিকরা ছিলেন যোশাদা বেনের সঙ্গে।
তবে উল্লেখযোগ্য, প্রধানমন্ত্রী মোদির স্ত্রী’র আসার খবর কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বের কাছে ছিল না। তাই পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো বিব্রত বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও স্বামীর সুস্থ কামনায় নমোর স্ত্রী পুজো দিলেন।
কল্যানেশ্বরী মন্দিরে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও এদিন ধানবাদের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিশু শিক্ষার ওপর জোর দেন তিনি। সুন্দর সমাজ গড়তে প্রতিটি শিশুই যেন শিক্ষা পায় সেই আবেদনও রাখেন।
যশোদা বেনের সঙ্গে এদিন ছিলেন তাঁর ভাই অশোক মোদি ও ব্যক্তিগত সচিব অনুজ শর্মা। তবে কল্যানেশ্বরী মন্দির আসার আগে তিনি ধানবাদের বিটাহী রামরাজ মন্দিরে পুজো দিয়ে আসেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন  স্থানীয় বিধায়ক টুল্লু মাহাতো ও স্ত্রী সাবিত্রীদেবী।
মন্দিরে ঢোকার আগে স্থানীয়রা নরেন্দ্র মোদির জয়ধ্বনি দেন। শুধু তাই নয়, যশোদা বেন ‘স্বাগত ছে’ আওয়াজও তোলেন। এদিন মন্দিরে পুজো দেওয়ার সময় তাঁর চোখেমুখে ছিল হাসিখুশি ভাব। মন্দিরে রাম সীতার পুজো দেন, আরতিও করেন।
কল্যানেশ্বরীর পুরোহিত বিল্টু মুখোপাধ্যায় বলেন, অনেক ভিআইপিকে আমি মন্দিরে পুজো করিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্যের স্ত্রীকেও আমি পুজো করিয়েছি। এছাড়া রাজ্যের মন্ত্রী বা কেন্দ্রের মন্ত্রীরাও আসেন। স্বামীর মঙ্গল কামনায় তিনি পুজো দিয়েছেন।
রবিবার সকালে হাওড়া-যোধপুর ট্রেনে করে তিনি ধানবাদে আসেন  অখিল ভারতীয় সাহু বৈশ্য মহাসভার অনুষ্ঠানে। ধানবাদের হীরাপুর লেন্ডিং ক্লাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।  তাদের তরফ থেকে পড়ুয়াদের কৃতী সম্মান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। মূল অতিথি ছিলেন যশোদা বেন। তিনি গুজরাটি ভাষায় বলেন, “ঝাড়খন্ডের নাম শুনলেই ভয়ংকর একটা জায়গা মনে হত। কিন্তু এখানে এসে বুঝলাম আমার ধারণা ভুল। এখানকার লোক একেবারেই সেরকম নন। এখানে আসার পর মনে হয়েছে ধানবাদের লোক মনের দিক দিয়ে অনেক ধনবান।

Previous articleকেন্দ্রের ‘হিন্দি চাপানোর’ বিরুদ্ধে সরব হলেন খোদ বিজেপির এক মুখ্যমন্ত্রী!
Next articleএখন কুমোরটুলি: সৌম্যদীপ দের ক্যামেরায়