স্বেচ্ছাচারের প্রতিবাদ করেছিলেন, তাই রাজীব কুমার গ্রেফতার করে কুণাল ঘোষকে, ভরা কোর্টে জানালো CBI

উত্তর 24 পরগণার জেলা জজের এজলাশ। মঙ্গলবার বেলা 3টে। তখন রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আর্জির শুনানি চলছে। রাজীবের আইনজীবী সওয়ালে বলেছেন, CBI উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই রাজীব কুমারকে হেফাজতে নিতে চাইছে। রাজীব কোনওভাবেই এই মামলার সঙ্গে যুক্ত নয়। সুতরাং রাজীবের আগাম জামিন মঞ্জুর করা হোক।

এর উত্তর দিতে এবার এজলাশে দাঁড়ালেন CBI-এর আইনজীবী। এক এক করে তুলে ধরলেন রাজীব কুমার কীভাবে সারদা-মামলার তদন্তে অসহযোগিতা করে চলেছেন। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, তদন্তে সহযোগিতার জন্য। সেই নির্দেশকেও বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে CBI-এর ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য লোপাট, তথ্যবিকৃতির নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। রাজীব প্রভাবশালী, তাঁকে বাইরে রেখে এই তদন্ত চালানো সম্ভব নয়।

এর পরই CBI আইনজীবী বলেন, “রাজীব কুমার প্রতিহিংসাপরায়ণ। তাঁর স্বেচ্ছাচারী, আইনবিরুদ্ধ কাজের প্রতিবাদ করেছিলেন বলেই প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার পর্যন্ত করেছিলেন ব্যক্তিগত আক্রোশে। ফলে এই মানসিকতার লোককে বাইরে রেখে সঠিক তদন্ত হতে পারবে না।”

প্রসঙ্গত, এই রাজীব কুমার যখন বিধাননগর কমিশনারেটের কমিশনার, তখনই গ্রেফতার করা হয়েছিলো তৎকালীন সাংসদ কুণাল ঘোষকে। কুণাল একটি প্রতিবাদ পত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন সেদিন। সেই প্রতিবাদ পত্রে কমিশনার রাজীব কুমার এবং বিধাননগরের তদানীন্তন গোয়েন্দাপ্রধান অর্ণব ঘোষ কীভাবে তাঁকে হেনস্থা করে চলেছন, সে কথাই বলা হয়েছিলো। সেদিন থানায় দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখার পর রাজীব কুমারের নির্দেশে অর্ণব ঘোষ গ্রেফতার করেছিলো কুণাল ঘোষকে। উল্লেখ্য, কুণালকে কিন্তু CBI কখনই গ্রেফতার করেনি। বিধাননগর পুলিশই গ্রেফতার করেছিলো কুণাল ঘোষকে। সে সময় এই রাজীব কুমারই ছিলেন সেখানকার পুলিশ কমিশনার।
মঙ্গলবার রাজীবের আগাম জামিনের বিরোধিতা করে রাজীব কুমারের প্রতিহিংসার কথার প্রসঙ্গেই আদালতে এসব কথা তুলে ধরেন CBI-এর আইনজীবী।

আরও পড়ুন-স্থগিত রাজীব কুমারের আগাম জামিন মামলার রায়

 

Previous articleমোদির স্ত্রীকে শাড়ি উপহার মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleBREAKING: মেট্রোর কাজে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের