এই কি নিন্দনীয় ঘটনার সমালোচনার পন্থা?

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গেলেন বিশ্ববিদ্যালয় আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে । তিনি দলীয় ছাত্র সংগঠনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান। গিয়ে পড়লেন বিপরীত মেরুর ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের বিক্ষোভের মুখে। ঘটনাস্থল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তারিখ 9 সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার। ঘটনা নিন্দনীয় সন্দেহ নেই। ছাত্র সংগঠনের মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে। টিভি চ্যানেলে বারবার দেখা গেছে কিভাবে বিখ্যাত গায়ক তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র চুল ধরে টানা হচ্ছে, জামা ছিঁড়ে দেওয়া হচ্ছে। চোখ থেকে খুলে নেওয়া হচ্ছে চশমা। একসময় রীতিমতো ধাক্কা দেওয়া হয় তাকে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সেইসব ছবি মার্ক করে দেখানো হয়েছে। বারবার এরপরের ঘটনা স্রোত বইছে অন্যখাতে । যে সংগঠনের ডাকে গিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়, সেই এমপি সদস্যরাও তান্ডব চালিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংলগ্ন রাজপথে সন্ধ্যের শেষে। কিন্তু তারপরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছয়লাপ হয়ে যায় ছবি। বাবুল সুপ্রিয়র আক্রমণকারী বলে বেশ কিছু ছাত্রদের চিহ্নিত করা হয়। শুধু সেখানেই থেমে থাকেনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্মথকরা। তারা সেই সব ছাত্রের নাম, ঠিকানা পরিচয় সবকিছুই দিয়ে দেওয়া হয়েছে । এই ছবিগুলো ঠিক কিনা নাকি ফটোশপ করা ‘এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ’ তা যাচাই করেনি। যারা এই আক্রমণ চালিয়েছিল তারা তাদের কাজ নিন্দনীয় সে কথা সব মহলেই বলা হচ্ছে কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় । এভাবে তথ্য যাচাই না করে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করাটা কতটা যুক্তিযুক্ত সে নিয়েও কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়।

Previous articleযাদবপুর নিয়ে মিছিল, পাল্টা মিছিলে তীব্র যানজট
Next articleএনআরসি আতঙ্কে আত্মহত্যা জলপাইগুড়িতে