দেবযানীর বাড়িময় পদ্ম ছাপ পতাকা, মেনেও মানছেন না বিজেপি নেতৃত্ব

আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম জাড়ালে, তদন্ত থেকে বাঁচতে সহজ উপায় পদ্মবনে আশ্রয়। এই কথাটা রাজ্য রাজনীতিতে বহুল প্রচলিত। এবার কি সেই চেনা পথেই হাঁটতে চলেছেন সারদা কাণ্ডে অন্যতম মূল অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়? কারণ, তাঁর বাড়ির ঠিকানা ঢাকুরিয়ার এক নম্বর মুখার্জিপাড়া এখন বিজেপির আঞ্চলিক কার্যালয়। বাড়ির সামনে পদ্মফুল ছাপ পতাকায় ছয়লাপ। এমনকী, স্থানীয়ভাবে যেসব লিফলেট বিলি করা হচ্ছে, তাতেও ঠিকানা লেখা রয়েছে এক নম্বর মুখার্জি পাড়া, ঢাকুরিয়া। নীচে যাঁর নাম রয়েছে, তিনি এক নম্বর মণ্ডলের প্রেসিডেন্ট কৃষ্ণচন্দ্র দেবনাথ। যদিও কার্যালয় চলার বিষয়টা তিনি স্বীকার করতে চাননি। তবে, অন্য এক বিজেপি নেতা, স্বীকার করেছেন সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতেই চলছে তাঁদের দলীয় কার্যালয়। তাহলে কি জেলে বসেই দেবযানী পদ্মবনে আশ্রয় খুঁজছেন? যদিও বিজেপি-র স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে দাবি, লোকসভা নির্বাচনের সময় ওয়্যার হাউস হিসেবে ওই ঘরটি ভাড়া নিয়েছিল তাঁরা। সেখানে দলের ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন, লিফলেট এইসবই রাখা আছে।

আরও পড়ুন-উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহার করে আধুনিক ‘গেছোদাদা’ রাজীব কুমার

শুধু তাই নয় ভোটের পর থেকে সেটি বন্ধ বলেও দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের। কিন্তু এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনে বন্ধ থাকলেও, রাতে বিজেপির অফিস খোলে। সেখানে মিটিং-ও হয় বলে জানিয়েছেন পড়শিরা। এমনকী, নির্বাচনের সময় কলকাতা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী চন্দ্র বসু দিনের পর দিন ওই বাড়িতে মিটিং করেছেন বলেও সূত্রের খবর। যদিও এক নম্বর মুখার্জিপাড়ার বাসিন্দারা এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সংবাদমাধ্যমের সামনেও আসতে চাননি তাঁরা। সারদা কাণ্ডের পর থেকে এতবার পুলিশ, মিডিয়া ওই বাড়ির দরজায় কড়া নেড়েছে, যার ফলে এখন অপরিচিত লোক দেখলে আর দরজা খোলেন না ওই বাড়ির সদস্যরা। তবে, এত জায়গা থাকতে এই বাড়িতেই কেন বিজেপির দলীয় কার্যালয় হল? যে বাড়িতে দেবযানীর তুতোভাইরা এখন থাকেন, সেই বাড়িটাকেই বিজেপি কর্মীরা কেন বেছে নিলেন দলীয় কার্যালয়ের জন্য? আর যদি সেটা করেও থাকেন তাহলে তাই নিয়ে এত ঢাকঢাক, গুড়গুড় বা কিসের? দেবযানী মুখোপাধ্যায় সারদা মামলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন অভিযুক্ত। তাঁর বয়ানের ওপর সিবিআইয়ের তদন্তের গতি প্রকৃতি অনেকটাই নির্ভর করে বলে সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে তাঁর বাড়িতেই বিজেপির কার্যালয় হওয়ায় রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি দেবযানীও বলছেন, “রং দে তু মুছে গেরুয়া”।

আরও পড়ুন-বিষয় চিন, এবার পুজোয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নতুন বই

 

Previous articleউন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহার করে আধুনিক ‘গেছোদাদা’ রাজীব কুমার
Next articleবাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে এবার FIR যাদবপুরের পড়ুয়াদের