খেতে দেয় না শ্বশুরবাড়ি, বিস্ফোরক অভিযোগ লালুর পুত্রবধূর

সংবাদমাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রকাশিত হয় বধূ নির্যাতনের খবর। এবার এই অভিযোগ রাজনীতির হেভিওয়েট নেতার পুত্রবধূর। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খেতে না দিয়ে, ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুললেন লালুপ্রসাদ যাদবের জ্যেষ্ঠ পুত্রবধূ ঐশ্বর্যের। তাঁর অভিযোগ, স্বামী তেজপ্রতাপ ও শ্বশুর লালুপ্রসাদের অনুপস্থিতিতে ননদ ও শাশুড়ি তাঁর উপর নির্যাতন চালাচ্ছেন। যদিও, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ খারিজ করেছেন লালুপ্রসাদের কন্যা তথা আরজেডি-র রাজ্যসভা সাংসদ মিসা ভারতী।
আরজেডি-র প্রাক্তন মন্ত্রী চন্দ্রিকা রায়ের মেয়ে ঐশ্বর্যর সঙ্গে গত বছর মে মাসে বিয়ে হয় লালুপ্রসাদের বড় ছেলের। কিন্তু বিয়ের সাত মাসের মধ্যেই বাড়ি ছাড়েন তেজপ্রতাপ। ঐশ্বর্যর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না বলে জানান তিনি। এমনকী, ঐশ্বর্য থাকলে তিনি ফিরবেন না বলেও জানান তেজপ্রতাপ। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন ঐশ্বর্য। কিন্তু রবিবার পটনার ১০ সার্কুলার রোডে, শুড়ি রাবড়ি দেবীর বাংলোর বাইরে তাঁকে কাঁদতে দেখা যায়। সংবাদমাধ্যমের কাছে ঐশ্বর্যের অভিযোগ, তেজপ্রতাপ বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করার পরেও শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন তিনি। কিন্তু গত তিন মাসে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ঐশ্বর্যের অভিযোগ, ননদের নির্দেশে খেতে দেওয়া হয় না তাঁকে। বাপের বাড়ির পাঠানো খাবার খেয়েই থাকতে হচ্ছে। এমনকী, রবিবার রান্না ঘরে ঢুকতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে দাবি অভিযোগ ঐশ্বর্যর। মেয়ের ফোন পেয়ে রবিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছন চন্দ্রিকা রায়। যায় পুলিশও। তাঁরাই কথা বলে ঐশ্বর্যকে বাড়ির ভিতরে পাঠান। শ্বশুরমশাই জেলের বাইরে থাকলে তাঁকে ভুগতে হত না বলে মত ঐশ্বর্যের। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মিসা ভারতী। এ বিষয়ে রাবড়ী দেবীর মত অবশ্য জানা যায়নি।

আরও পড়ুন – রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ মাহির

Previous articleরাষ্ট্রপতির সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ মাহির
Next articleপদত্যাগ করলেন সুনীল সিং, গারুলিয়া পুনর্দখল ঘাসফুল শিবিরের শুধু সময়ের অপেক্ষা