কলকাতার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে হংকংয়ের বাঙালিদের শারদ উৎসব

নিজেদের শিকড় ছেড়ে বহু যোজন দূরের প্রবাসে থাকা বাঙালিরা অপেক্ষায় থাকেন শারদ উৎসবের। প্রবাসেই দুর্গাপুজোর আয়োজন করে বাঙালিরা যেন ফিরে পান বাঙলার মাটির গন্ধ।

ব্যতিক্রম নন দক্ষিণ চিন সাগরের উপকূলে হংকংয়ের বাঙালিরাও। হংকংয়ের বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের শারদ উৎসব এ বার 21 বছরে পা দিল। হংকংয়ে এই একটি মাত্র বারোয়ারি দুর্গাপুজোই হয়, আর তাকে ঘিরেই ওখানকার বাঙালিরা মেতে ওঠেন।
মহাসপ্তমীতে সকাল থেকেই চলছে পঞ্জিকা মেনে আবাহন। হংকং-এর প্রতিটি বাঙালি সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন এই পুজোতে। সঙ্গে আছেন অসংখ্য অসংখ্য প্রবাসী অবাঙালিও। 2016-তে এই পুজো “বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান”-এ ভূষিত হয়েছিলো।
হংকং-এর এই পুজো শতাব্দী প্রাচীন ইন্ডিয়ান রিক্রিয়েশন ক্লাবের চত্বরে হচ্ছে। এবারেও মা এসেছেন সেখানেই। পুজো কমিটির সভাপতি অলক রায়, সম্পাদক সাগ্নিক গঙ্গোপাধ্যায়।
অলক রায় এদিন নিজেই কাঁধে তুলে নিয়েছেন ঢাঁক। একেবারে পেশাদারি ভঙ্গিতে সপ্তমীর মণ্ডপ মাতিয়েছেন তিনি।
এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা, রাজদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, পুজোর প্রতিদিন বিকেলে ধুমধাম করেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে। হবে ধুনুচি নাচ, শাঁখ বাজানো প্রতিযোগিতা। এসব অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন হংকং বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরাই। পুজোর চার-পাঁচ দিন মাতৃমণ্ডপে রোজ দো-বেলা জোরদার খাওয়া দাওয়া। খাবারের মেনুতেও বাংলার ছোঁয়া।
হংকংয়ের বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রতিবারের মতো এবারও যেন এই বাংলাকে তুলে আনা হয়েছে হংকং-এ।

Previous articleসেনাকর্মীদের প্রতি আরও দরাজ মোদি সরকার
Next articleনবমী অথবা দশমীতে কলকাতায় আসছেন নারদ কর্তা ম্যাথু, যাবেন সিবিআই দফতরে