কুমারটুলিতে নেই কোনও অবিক্রিত দুর্গা প্রতিমা, তবুও কেন খুশি নন প্রতিমা শিল্পীরা?

মহাসপ্তমীর সন্ধ্যায় যখন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে মানুষের ঢল নেমেছে, ঠিক তখনই কুমারটুলির পটুয়াপাড়ার চিত্রটা ছিল প্রায় নিস্তব্ধ। নেই সেই চরম ব্যস্ততা। নেই প্রতিমা শিল্পীদের ঘরে ঘরে অসংখ্য দুর্গা প্রতিমাও। এমনকি অনেক কারিগর ছুটিতে বাড়িও চলে গিয়েছেন। কারণ, তাদের দুর্গা প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ। এমনকি অনেক প্রতিমা পৌঁছে গিয়েছে বিদেশেও। এবারে নেই কোনও অবিক্রিত দুর্গা প্রতিমা।

সকালে নবপত্রিকা স্নানের মাধ্যমে শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজোর আগের ব্যস্ততা আর চোখে পড়েনি কুমারটুলির পটুয়াপাড়ায়। আর তাতে বেশ খুশি প্রতিমা শিল্পীরা। তবে যতটা খুশি হওয়া উচিত, প্রতিমা শিল্পীদের ততটা খুশি নন। কারণ, তাঁদের বক্তব্য, দুর্গা প্রতিমার চাহিদা কমেছে। বেড়েছে গণেশ ঠাকুরের চাহিদা। অন্যান্য বছরের তুলনায় দুর্গা প্রতিমা অনেক কম বানানো হয়েছে। তাই হয়তো দুর্গা প্রতিমা অবিকৃত নেই, এমনটাই দাবি করেছেন এক প্রতিমা শিল্পী।

সপ্তমীর সন্ধ্যায় কুকারটুলির পটুয়াপাড়ায় উঁকি দিলে দেখা মিলেছে বড় বড় কালী ঠাকুর ও লক্ষ্মী ঠাকুরের। এমনকি প্রত্যেকের ঘরে পৌঁছানোর জন্য একেবারে সেজেগুজে প্রস্তুত মা লক্ষ্মী। আর কয়েকদিন পরে প্রত্যেকে গৃহিণীরা করবেন কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা। 15 দিন পরে আসবে শুভ দীপাবলি। আর তাই লক্ষ্মী ও কালী ঠাকুর প্রস্তুতিতে এই মুহূর্তে একটা ব্যস্ততা থাকলেও দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে যে ব্যস্ততা কুমারটুলির পটুয়াপাড়ায় লক্ষ্য করা যায়, তা এই মুহূর্তে নেই বললেই চলে।

যদিও সব শেষে প্রতিমা শিল্পীদের মনের মধ্যে একটা আক্ষেপের সুর রয়ে গিয়েছে। তা হল, চাহিদা কমেছে দুর্গা প্রতিমার। যা বাঙালি মনকে হয়তো একটু হলেও আঘাত করবে। তবে বাঙালি আশায় বেঁচে থাকে, তাই আগামী বছর দুর্গা প্রতিমার চাহিদা আবার একইরকমভাবে বৃদ্ধি পাবে, এমনটাই আশাবাদী সকলে।

Previous articleসিপিএমের বিরোধী হয়েও বলছি, ওদের যাদবপুর বুকস্টলে যান: কুণাল ঘোষ
Next articleপরিবহের হাতে নতুন প্রাণের সঞ্চার