পরিবহের হাতে নতুন প্রাণের সঞ্চার

অভিযোগ ছিল চিকিৎসার গাফিলতিতে বৃদ্ধের মৃত্যুর। রোগীর পরিবারের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এনআরএস হাসপাতাল। জখম হন জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়। মাথায় পড়েছিল ইটের আঘাত। ফুটো হয়ে গিয়েছিল করোটি। তারপর সেই ঢেউ আছড়ে পড়েছিল কলকাতা পেরিয়ে রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কর্মবিরতি করেছিলেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। তবে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে পরিবহ মুখোপাধ্যায় কিন্তু ভোলেননি নিজের ধর্ম; রোগীর চিকিৎসা। তার প্রমাণ মিলল দুর্গাপুজোর শুরুতে পঞ্চমীর দিন। সেদিনই পরিবহের হাত ধরে পৃথিবীর আলো দেখলো এক প্রাণ। সিজার করে সন্তানের জন্ম দিলেন সেই চিকিৎসক যাঁদের বিরুদ্ধে একদিন চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। প্রমাণ হল প্রাণের সঞ্চার করতে, জীবনকে রক্ষা করতেই তাঁরা ব্রতী।

সত্যি সে রাতে জুনিয়র ডাক্তারদের কতটা দোষ ছিল, আদৌ ছিল কি না? তা তদন্ত সাপেক্ষ। কিন্তু প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে নতুন জীবনকে পৃথিবীর আলো দেখিয়ে পরিবহ প্রমাণ করলেন তাঁরা পিছু হটতে আসেননি। নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকে সেবায় ব্রতী হতেই তাঁরা ইচ্ছুক।

Previous articleকুমারটুলিতে নেই কোনও অবিক্রিত দুর্গা প্রতিমা, তবুও কেন খুশি নন প্রতিমা শিল্পীরা?
Next articleজঙ্গলমহলে দুঃস্থ মানুষদের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে ডানা মেলল বাগনানের “স্বপ্ন উড়ান”