Thursday, August 28, 2025

অ্যারে কলোনিতে গাছ কাটায় স্থগিতাদেশ জারি সুপ্রিম কোর্টের

Date:

Share post:

মেট্রো রেলের কারশেড তৈরির জন্য মুম্বইয়ের অ্যারে এলাকায় মিঠি নদীর ধারে অ্যারে কলোনিতে গাছ কাটায় স্থগিতাদেশ জারি করলো সুপ্রিম কোর্ট। আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চে শুনানি পর স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ 21 অক্টোবর পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত আর একটিও গাছ কাটা যাবে না অ্যারে কলোনিতে।

মুম্বইয়ের অ্যারে এলাকায় মিঠি নদীর ধারে বিশাল বনাঞ্চলে রয়েছে প্রায় 5 লক্ষ গাছপালা। 1280 হেক্টর আয়তনের এই এলাকা বাণিজ্যনগরীর ফুসফুস বলে পরিচিত। এই এলাকাতেই মেট্রো রেলের কারশেড তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। তার জন্য 2,646টি গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই লাগাতার প্রতিবাদ-বিক্ষোভে নেমেছেন সমাজকর্মী ও পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ বিক্ষোভের পাশাপাশি আইনি লড়াইয়েও নেমেছেন আন্দোলনকারীরা। গাছ কাটা বন্ধের আর্জি জানানোর সঙ্গেই অ্যারে কলোনির ওই এলাকাকে ‘সংরক্ষিত বনাঞ্চল’ ঘোষণার দাবি জানায় কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সমাজকর্মীরা। কিন্তু শুক্রবার তাঁদের আর্জি খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রদীপ নন্দরাজোগের ডিভিশন বেঞ্চ। এই রায়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হন আন্দোলনকারীরা। আইনের ছাত্র ঋষভ রঞ্জন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে একটি চিঠি দিয়ে গাছ কাটা বন্ধের আর্জি জানান। তাঁর আবেদন, ইতিমধ্যেই প্রায় 1500 গাছ কাটা হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সব আইনি পদ্ধতি মেনে মামলা শুরুর আগেই সব গাছ কাটা হয়ে যাবে। তখন আর কিছু করার থাকবে না। চিঠিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানান ঋষভ। ওই চিঠির ভিত্তিতেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। আজ সেই মামলায় প্রাথমিক শুনানির পর 21 অক্টোবর পর্যন্ত গাছ কাটায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ।
অন্য দিকে অশান্তি এড়াতে এবং সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে শুনানির জেরে অ্যারে কলোনিতে সোমবার নতুন করে 144 ধারা জারি করে মুম্বই পুলিশ। তবে নতুন করে কোনও অশান্তির খবর মেলেনি। অ্যারে এলাকায় গাছ কাটার প্রতিবাদে শুক্রবার রাত থেকে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন সমাজকর্মী, পরিবেশপ্রেমী, ছাত্র-ছাত্রীরা। তার জেরে ওই এলাকায় 144 ধারা জারি করে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করেই বিক্ষোভ-আন্দোলনের জেরে গ্রেফতার হয়েছিলেন মোট 29 জন। রবিবার ছুটির দিনে বিশেষ আদালত তাঁদের সবার জামিন মঞ্জুর করেছে।

spot_img

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...