বিরাট ব্যাটে যথার্থ সঙ্গত রাহানে-জাদেজার, ধাক্কা ঊমেশ-শামির

ব্যাটে বলে পুণেতে বিরাট রাজত্ব। পর্যুদস্ত প্রোটিয়রা। পাহাড় প্রমাণ রান ৪ উইকেটে ৬০১। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ভেঙে পড়ল ডুপ্লেসির দল। ঊমেশ আর শামির ঝোড়ো বোলিংয়ের জেরে দিনের শেষে তারা ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৩ রান।

দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হল যখন, তখন বিরাট ৬৩ রানে এবং রাহানে ১৭ রানে ব্যাট করছিলেন। কিন্তু ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে ইনিংস গড়লেন বিরাট আর রাহানে। যখন মনে হচ্ছিল রাহানে বড় রানের দিকে এগোচ্ছেন। ঠিক তখনই ৫৯ রানের মাথায় ফিরলেন তিনি। তার আগে একবার রান আউট হতে হতে বেঁচে যান রাহানে। কোহলির সঙ্গে যোগ দেন জাদেজা। রান তোলার গতিও বাড়তে থাকে। জাদেজা ৮টি চার, দুটি ছক্কা দিয়ে ইনিংস সাজান। অন্যদিকে কোহলি ডবল করে ফেলেছেন। দ্রুত রান উঠতে থাকে। কিছুটা আগেই হয়তো কোহলি ডিক্লেয়ার করতেন। শুধু অপেক্ষা করছিলেন জাদেজার সেঞ্চুরির জন্যে। কিন্তু তুলে মারতে গিয়ে ৯১ রানে আউট হওয়ার পরেই ডিক্লেয়ার করলেন কোহলি। অধিনায়ক তখন নিজে ২৫৪ রানে অপরাজিত। একবার চান্স দেওয়া ছাড়া কোহলির ইনিংস ছিল কার্যত কপি বুক। ৩৩৬ বলের ইনিংস সাজালেন ৩৩টি চার আর দুটি ছক্কা দিয়ে। ব্যাট করতে নেমে ভারতের দুই পেস ব্যাটারির ধাক্কায় কুপোকাত দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রায় এক বছর পর টেস্টে ফিরে ঊমেশ শুরুতেই ভয়ঙ্কর। প্রথম ওভারেই শূন্য রানে মাক্রমকে ফেরালেন ঊমেশ। পরের ওভারেই ঊমেশ ফেরালেন এডগারকে। শামি ফেরালেন টেম্বা বাভুমাকে। শামির বলে ড্রুমও প্যাভেলিয়নের পথ দেখতেন, যদি না স্লিপে মায়াঙ্ক তার ক্যাচ ফেলতেন। দেখার বিষয়, কালই প্রোটিয়রা ইনিংস ডিফিটের মুখোমুখি হয়, না চতুর্থ দিন গড়াবে ম্যাচ।

Previous articleনিজের বিরুদ্ধে জরিমানা! সরকারি আধিকারিকের অবাক কাণ্ড
Next articleদ্বিশত জন্মবার্ষিকীতে বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধার্ঘ্য কালীঘাট মিলন সংঘের