জনমানসে দাগ কাটতে এবার তেরঙ্গা-লাল ঝান্ডার যৌথ কর্মসূচির উদ্যোগ

আর আলাদাভাবে নয়। আলাদা কর্মসূচিতে তেমন লোকজন হচ্ছে না। ফলে সেভাবে দাগ কাটা যাচ্ছে না।

তাই এবার একসঙ্গে তেরঙ্গা আর লাল ঝান্ডা নিয়ে দুই শিবির যৌথ কর্মসূচি নিতে চলেছে।

জনাকয়েক নেতার একগুঁয়েমির কারনে 2019-এর লোকসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের জোট না হওয়ার ‘ভুল থেকে শিক্ষা’ নিয়ে এবার বছরভর যৌথ কর্মসূচির পথে হাঁটতে চাইছে কংগ্রেস ও বাম নেতারা। বাম-কংগ্রেসের প্রত্যাবর্তন যাতে মানুষের নজরে আসে, জনতার মধ্যে আলোড়ন ফেলতে পারে, সে জন্য কলকাতায় মহামিছিল বা বড় সমাবেশের ভাবনাও শুরু হয়েছে। যৌথ কর্মসূচির কথা আলোচনা হলেও, কোন ধরনের কর্মসূচি নিয়ে একযোগে ময়দানে নামবে বাম-কং, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যৌথ কর্মসূচিও যাতে ‘ফ্লপ’ না হয়, সে জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েই নামতে চাইছে দু’তরফ। মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে এক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের সঙ্গে এ ধরনের কর্মসূচি নিয়ে সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু-সহ বামফ্রন্ট নেতৃত্বের প্রাথমিক কথা হয়েছে। কথা চলছে, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস একযোগে কোনও মঞ্চ তৈরি করার। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ মনে করছেন, কলকাতায় বড় আকারে প্রথম যৌথ কর্মসূচিটি করতে পারলে জেলায় তার প্রভাব পড়বে। নিচুতলাতেও যাতে একই ভাবে যৌথ মিছিল-সভা করা যায়, দুই শিবিরের কর্মীদেরই তা বোঝানো হবে। দীপাবলির পরই দু’তরফের নেতারা আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসবেন কর্মসূচি স্থির করতে। তবে এটা ঠিক হয়েছে, দু’পক্ষের বৈঠক এবার বিধানভবন বা আলিমুদ্দিনে নয়, হবে
ফ্রন্টের কোনও শরিকের রাজ্য দপ্তরে। আগামী সপ্তাহে সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে আন্দোলন কর্মসূচির রূপরেখা নিয়ে কথা হবে। কংগ্রেসের তরফে আবদুল মান্নান ‘কংগ্রেস বার্তা’র শারদ সংখ্যায় দীর্ঘ নিবন্ধে কং-বাম জোটের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন। সোমেন মিত্রও তেমনই চাইছেন। ভোটের পর দুই শিবিরের নেতৃত্বই ঝান্ডা ছাড়া একাধিক মিছিল করেছেন। ভাটপাড়ায় সোমেন, বিমান, সূর্যকান্ত গিয়েছেন। বাম-কংগ্রেস পরিষদীয় দল নিয়ে সুজন চক্রবর্তী ও আব্দুল মান্নান মালদা, দক্ষিণ 24 পরগনায় গিয়েছিলেন। 2016-র বিধানসভা এবং 2019-এর লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর লাল ও তেরঙ্গা ঝান্ডার যৌথ কর্মসূচিই যে একমাত্র বিকল্প, এবার তা ভাবতে শুরু করেছে বিধানভবন এবং আলিমুদ্দিন।

Previous articleআজই দার্জিলিঙয়ে শেষ নিঃশ্বাস পড়েছিল তাঁর
Next articleএতো প্রাণী থাকতে পেঁচা কেন মা লক্ষ্মীর বাহন জানেন?