কাউন্টার-অ্যাটক নির্ভর ফুটবল খেলে ভারতের ছোট ভুলের সুযোগ নিতে চায় বাংলাদেশ

আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের মায়াবী আলোয় বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় পর্বে গ্রুপ ‘ই’- এর ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ফিফা বিশ্ব ক্রম তালিকায় বাংলাদেশ অনেকটাই পিছনে ভারতের। তা বলে বাংলাদেশকে একেবারেই খাটো করে দেখার অবকাশ নেই।

এই বাংলাদেশ দলে রয়েছে সে দেশের দুই সেরা ক্লাব বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনীর খেলোয়াড়দের আধিক্য। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওই দুই দলের দুই বিদেশি কোচ বসুন্ধরার অস্কার ব্রুজেন ও আবাহনীর টমাস লেমোসের একটা প্রভাব আছে বাংলাদেশের খেলায়। বসুন্ধরা কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজেন দলটার খেলার ধরন পালটে দিয়েছেন। আবাহনী কোচ টমাস মারিয়া লেমোসের খেলার ছাপও বোঝা যায় দলটার মধ্যে। বাংলাদেশ যেমন পাস দিয়ে খেলতে স্বচ্ছন্দ, ঠিক একইভাবে প্রেস করে খেলতেও পিছপা হয় না।

প্রথম একাদশে তিনজন খেলোয়াড় না থাকায় একটু সমস্যায় বাংলাদেশ। ডিফেন্ডার তপু বর্মণ, সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদ ও উইঙ্গার মাশুক মিয়া জনি- সকলেই লিগামেন্টের চোটে জর্জরিত হয়ে দলের বাইরে। বলতেই হয়, এই তিন ফুটবলারকে মিস করবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি, ইমন রহমান বাবুকে স্কোয়াডে রাখা হয়নি। যা অনেককেই অবাক করেছে।

তবে আবাহনীর সোহেল রানা ও নাবিব নেওয়াজ জীবন দলের অন্যতম ভরসা। নাবিব নেওয়াজের বেশ গতি আছে, কৌশলগত দিক দিয়েও ভালো। শারীরিক দিক দিয়ে অতটা শক্তিশালী না হলেও টেকনিক দিয়ে পুষিয়ে দেয়। সোহেল রানাও বেশ দ্রুতগতির ফুটবলার।

ধারে ভারে সুনীল ছেত্রীরা বাংলাদেশিদের থেকে এগিয়ে থাকলেও কাউন্টার-অ্যাটক নির্ভর ফুটবল খেললে ভারতকে ঝামেলায় ফেলতে পারবে বাংলাদেশ। নিজেদের ঘর সামলে বাংলাদেশের কাউন্টার অ্যাটাকে খেলতে চাইবে। সেটা আটকানোই ভারতের মূল কাজ। ভারত ছোট কোনও ভুলের দিকেই তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।

Previous articleজিয়াগঞ্জ : ৬দিন পরেও অধরা খুনিরা, ফোনের কললিস্টেই লুকিয়ে সূত্র!
Next articleনটি রুটে বাস বন্ধ, চূড়ান্ত নাকাল যাত্রীরা