লক্ষ্মী পুজোর শুভলগ্নে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসের কথা জানালেন কাঞ্চনা

‘সাঁঝের বাতি’ ধারাবাহিকে নায়িকা চারুকে সারাক্ষণ যন্ত্রণা দিতে দেখা যায় ঝুম্পাকে। কিন্তু ধারাবাহিকের ঝুম্পার থেকে বাস্তবে কাঞ্চনা মৈত্র অনেকটাই আলাদা। ধারাবাহিকের ঝুম্পা যতটা নেগেটিভ, বাস্তবের কাঞ্চনা মৈত্র ততটাই পজেটিভ। মা লক্ষ্মীর আরাধনায় এমনই বার্তা দিয়েছেন অভিনেত্রী।

মা দুর্গার বিদায়ের সুর যখন সকলকে নাড়া দেয়, তখন বাঙালি মেতে ওঠে মা লক্ষ্মীর আরাধনায়। আমজনতা থেকে সেলিব্রেটি সকলেই মা লক্ষ্মীর আরাধনায় ব্যস্ত হয়ে ওঠে। কাঞ্চনাও তার অন্যথা ঘটাননি। মা লক্ষীকে যেমন সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন তিনি, তেমনই নিজেও সুন্দরভাবে সেজে উঠেছিলেন।

কোজাগরীর পুজো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে অভিনেত্রী জানান, ‘লক্ষ্মী পুজো আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল। প্রত্যেক বছর এইভাবে মায়ের আরাধনা করে থাকি। সারা বছরের কাজের স্পিরিট পাই এই লক্ষ্মী পুজো থেকেই। তাই ভীষণ ভাল লাগছে।’ এখানেই থামেননি কাঞ্চনা মৈত্র। কোজাগরীর শুভলগ্নে তিনি জানিয়ে দিলেন যে, জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন আগামী বছর। অর্থাৎ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন কাঞ্চনা মৈত্র।

এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘সমাজে যেভাবে নারীরা এখনও অবহেলিত হয়, তা খুবই নিন্দনীয়। তবে সব পুরুষদেরই আমি খারাপ বলব না। আমার বাবা, দাদা এবং আমার হবু জীবনসঙ্গী তাঁরা কেউই খারাপ নন। তাই ভাল-খারাপ মিশিয়ে পৃথিবী। তবে খারাপটা একেবারে নির্মূল হয়ে যেদিন সকলে মেয়েদের সম্মান করবে, সেদিনই আসল নারী শক্তির আরাধনা হবে।’ সব মিলিয়ে ‘সাঁঝের বাতি’-র ঝুম্পা ওরফে কাঞ্চনা মৈত্রর বাড়ির লক্ষ্মীপুজো একেবারে জমে উঠেছিল, তা বলাই যায়।

ছবি- প্রকাশ পাইন

Previous articleবন্ধুদের তৎপরতায় প্রাণ ফিরে পেল যুবক
Next articleদেব-শুভশ্রী আফ্রিকার এপ্রান্তে- ওপ্রান্তে