দুর্ব্যবহারই মৃত্যুর কারণ হল বন্ধুপ্রকাশের

অবশেষে জালে ধরা পড়ল জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত উৎপল বেহেরা। মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ধরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় নিজের কুকীর্তির কথা স্বীকার করেছেন উৎপল। কিন্তু কী কারণে খুন? শুধুই কী আর্থিক লেনদেন? জিজ্ঞাসাবাদের পরে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানান, বন্ধুপ্রকাশ পালের থেকে টাকা পেতেন উৎপল। বন্ধুপ্রকাশ বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সংস্থায় টাকা রেখেছিলেন রাজমিস্ত্রি উৎপল বেহেরা। কিন্তু সে টাকা ফেরত দিতে চাইছিলেন না বন্ধুপ্রকাশ। এমনই অভিযোগ করেছেন উৎপল। তাঁর দাবি, টাকার জন্য নিহত শিক্ষককে ফোন করলে তিনি অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন। শুধু তাই নয়, অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করেন বলেও অভিযোগ। এর প্রেক্ষিতেই দশমীর দিন সকালে, তাঁর বাড়িতে ঢুকে অতর্কিতে হামলা চালান ওই অভিযুক্ত। প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বন্ধুপ্রকাশ পালকে হত্যা করেন। তারপরেই বিউটি পাল ও শিশুপুত্র অঙ্গনকে খুন করা হয়। ঘটনার আকস্মিকতায় উৎপলকে প্রতিরোধ করতে পারেনি পাল পরিবার। তবে তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা বাড়ির কাছাকাছি আসতেই দরজা খুলে পিছন দিক দিয়ে পালিয়ে যান উৎপল।

রাস্তায় যেতে যেতে নিজের টি শার্ট এবং প্যান্ট খুলে ফেলে ভিতরে স্যান্ডো গেঞ্জি এবং বারমুডা পরা অবস্থায় সাবলীলভাবে নিজের বাড়িতে ফিরে যান তিনি। সেখানেই ছিলেন এ কদিন। যদিও উৎপল বাড়ির লোকের মতে, তিনি নির্দোষ। শুধুমাত্র বন্ধুপ্রকাশকে ফোন করার জন্য এই ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। তবে পুলিশ সুপার এদিন জানান, জেলায় নিজের দোষ কবুল করার পাশাপাশি উৎপল যে খুনের বিষয় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন সেটাও বুঝতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান যদি ঘটনাস্থলেই ধরা পড়তেন তাতেও কিছু যায় আসত না। বন্ধুপ্রকাশকে খুন করার উদ্দেশ্যই ছিল উৎপলের। খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহ থেকে আপাতত ভাবে সৌভিককে রেহাই দিয়েছে পুলিশ।