Sunday, August 24, 2025

নোবেলজয়ীর জেলজীবন! শোনালেন মা

Date:

Share post:

“সেটা ছিল আমার প্রথম তিহার দর্শন বা জেল দর্শন। হঠাৎ শুনলাম অভিজিতকে নাকি তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি ও আমার স্বামী দীপক উদভ্রান্তের মত ছুটলাম দিল্লি।” এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অজানা এক গল্পের উপর আলোকপাত করলেন অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের মা নির্মলাদেবী।

কী হয়েছিল? কেন যেতে হয়েছিল নোবেল জয়ীকে জেলে? বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে বসে সে দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নির্মলাদেবী বললেন, “অভিজিৎ তখন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র। মাস্টার্স করছে। ফাইনাল ইয়ার। ওদের কলেজের একটি আন্দোলন করার জেরে বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে ধরে তিহার জেলে নিয়ে যায়। আমি ও দীপক তিহার গিয়ে হাজির। সেই প্রথম আমার জেল দর্শন। দেখা হল অভিজিতের সঙ্গে। ভয়ে বুক কাঁপছে। কিন্তু দেখলাম ওরা সকলে ভালই আছে। একসঙ্গে গল্পগুজবের মধ্যে রয়েছে। পুলিশের কোনও অত্যাচারের শিকার অবশ্য তারা হয়নি। আমরা স্বামী-স্ত্রী আশ্বস্ত হলাম। টানা ১০ দিন ওদের জেলে থাকতে হয়েছিল। তারপর অবশ্য ছাড়া পায়। তবে এই অভিজ্ঞতা ওর কাছেও যেমন নতুন ছিল, আমাদেরও হঠাৎ করে সংকটে ফেলে দিয়েছিল। অবশ্য তারপর সব ভালোভাবে মিটে যায়। অভিজিতরা সকলে জামিন পেয়ে যায়।”

নোবেলজয়ীর ছাত্র জীবনের অজানা এই গল্প শোনাতে গিয়ে এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ-এর ক্যামেরার সামনে নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলেন মা নির্মলাদেবী।

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...