বাংলায় এনআরসি-ই ভোটের প্রধান ইস্যু, গোটা দেশে হবে 2024-এর মধ্যে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

শুধু বাংলা কেন, গোটা দেশেই এনআরসি হবে। 2024-এর আগেই দেশে এনআরসি লাগু করব আমরা। আর 2021 সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে এনআরসি-ই হবে প্রধান নির্বাচনী ইস্যু। এই ভোটে বিজেপি দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জিতে এরাজ্যে সরকার গড়বে। এক সর্বভারতীয় চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে এনআরসি বা নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে এভাবেই বিস্ফোরণ ঘটালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

বাংলা-সহ গোটা দেশে এনআরসি প্রক্রিয়া কার্যকর করার বিষয়ে তাঁর সরকার যে বদ্ধপরিকর তা জানিয়ে শাহ বলেন, এটাই হবে ভোটের প্রধান ইস্যু। আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, অন্য দেশ থেকে আসা প্রত্যেক অ-মুসলিম মানুষই ভারতে শরণার্থীর মর্যাদা পাবেন। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, খ্রীষ্টান হলে শরণার্থী হিসাবে এদেশে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাবেন। কারণ অমুসলিম মানুষ, বিশেষত হিন্দুরা পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বৈষম্যের শিকার। নিজেদের ধর্ম বাঁচাতে, প্রাণ বাঁচাতে, মা-বোনের সম্মান বাঁচাতে তাঁরা এদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তাই হিন্দুরা অনুপ্রবেশকারী নন, তাঁরা শরণার্থী। মুসলিমদের তো আর ধর্ম বাঁচাতে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ছেড়ে আসতে হয়নি! বরং ওসব দেশে বৈষম্যের শিকার হিন্দুদের সংখ্যাই কমতে কমতে এখন মাত্র সাড়ে ছয় শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আমরা হিন্দু ও অ-মুসলিম মানুষদের যথাযথ মর্যাদা দেব।

তবে একইসঙ্গে শাহ স্বীকার করে নেন যে অসমের নাগরিকপঞ্জি তৈরিতে বহু গলদ হয়েছে। প্রক্রিয়াগত সমস্ত ভুল সংশোধন করা হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোই কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য কিনা সেই প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ বলেন, আমাদের সামনে দেশের সংবিধান রয়েছে। আমরা সংবিধান মেনেই কাজ করব।

 

Previous articleসৌরভের সঙ্গে রাজনীতির কোনও কথা হয়নি: অমিত শাহ
Next articleঅযোধ্যা-রায় সব সম্প্রদায়ের মানা উচিত: শাহ