বহিষ্কারের পেন্ডুলাম ঝুলছে সুশান্তের উপর, মতভেদ দলেই

কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ পালনের সামনে দাঁড়িয়ে আর এক বহিষ্কারের চালচিত্র তৈরির মুখে সিপিআইএম। এবার প্রাক্তন মন্ত্রী গড়বেতার সুশান্ত ঘোষ। দলে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন। এক পক্ষের বক্তব্য, এই দুর্দিনে যেখানে রাজ্যে দলই অস্তিত্ব সঙ্কটে, সেখানে এই সিদ্ধান্ত বাড়াবাড়ি। গ্রাউন্ড রিয়্যালিটির কথা চিন্তা করা উচিত। সুশান্ত দুর্দিনের কর্মী। কিছু ভুল তিনি করেছেন। নেতৃত্বের উচিত ডেকে আলোচনা করা সমাধান করা। আর যাই হোক সদ্য বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তো তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। বহিষ্কার করা মানেই দুজনকে একাসনে বসিয়ে দেওয়া। এটা অন্যায়। তাছাড়া এখনও জনমনে সুশান্তর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।কট্টরবাদী অন্য পক্ষ বলছেন, দলবিরোধী কাজ করেছেন। দলের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন। উপদলীয় কাজ জেনেশুনে করেছেন। ক্ষোভ থাকলে তা পার্টির মঞ্চেই বলা যেত। দীর্ঘদিনের পার্টিকর্মী হয়েও ইচ্ছাকৃতভাবে বিষোদগার করেছেন। তাই ব্যবস্থাই স্বাভাবিক।

সুশান্ত ঘোষকে ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করেছে দল। তাঁর শো-কজের জবাবেও সন্তুষ্ট নয় দল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সাসপেনসনের চিঠি এসেছে রাজ্য কমিটির কাছে। এখনই সেই সুপারিশে শিলমোহর না দিয়ে দল দু সদস্যের কমিশন করে সেখানে শেষবার বুঝে নিতে চাইছে। কমিশনের দুই সদস্য হলেন আভাস রায়চৌধুরী ও রামচন্দ্র ডোম। আজ সিপিএমের দুদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক। সেখানে কিছু রদবলের খবর রয়েছে। সুশান্তকে নিয়ে পরিস্থিতিও জানানো হবে।

সুশান্ত অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠমহল বলছে, যাদের জন্য জেল খাটতে হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রীকে, নিজের বাড়িতে যেতে পারেন না, তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ একমাত্র সিপিএমই করতে পারে। দলের রক্তক্ষরণের কারন এই আচরণেই স্পষ্ট।

আরও পড়ুন-জালে খাগড়াগড় কাণ্ডে অভিযুক্ত জেএমবি জঙ্গি