উত্তর কলকাতার নস্টালজিয়াকে নিয়ে তৈরি ‘আসছে বছর আবার হবে’

‘আসছে বছর আবার হবে’ উত্তর কলকাতার সাধারণ বনেদি বাড়ির পুজোর গল্প। সায়ন বসু চৌধুরী পরিচালিত একটি ছোট চলচ্চিত্র, যার সৃজনশীল পরিচালক হলেন তাপস চক্রবর্তী এবং উপস্থাপনায় সাতরাজিৎ সেন এবং কাহিনী ওয়ার্ল্ডস। চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন অন্তরা ব্যানার্জি।

এটি পাঁচ খুড়তুতো ভাই, বড়দা, দাদাই, মিনি এবং পদ্মিনী যাঁরা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁদের নিঃসঙ্গ দ্বীপের মতো জীবনযাপন করে এবং প্রায় প্রতিটি শহুরে পরিবারের মতো একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকার চেষ্টা করে। প্রতি বছর উত্তর কলকাতার এই শতাব্দী পুরানো দুর্গাপুজো তাঁদেরকে তাঁদের নিজস্ব শিকড়ে নিয়ে আসে। বছরের এই সময়ের জন্য আরও দু’জন প্রাণ আকাঙ্ক্ষিত থাকে দাদু এবং মিলি।

তবে এই বছরের পুজো একটু অন্যরকম। পুজো শুরু হওয়ার আগেই, দাদু ঘোষণা করেছিলেন যে, তাঁর বয়স হয়েছে, এবং প্রতি বছর এই বাড়ি এবং পুজাটি রক্ষণ করেন তিনি। সুতরাং পরের বছর থেকে কোনও পুজা হবে না, পাশাপাশি তিনি প্রমোটারদের কাছে এই বাড়ি বিক্রি করছেন, এবং মিলির সাথে অন্য ফ্ল্যাটে চলে যাচ্ছেন।
দাদুর নাতি নাতনিরা তাঁকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে, কিন্তু কোনও কথাতেই কিছু কাজ হয় না।

তাহলে অবশেষে এই বনেদি বাড়ির পুজোয় কী হবে? এটি কি কেবল আধুনিক দিনের জীবনযাত্রা এবং দূরবর্তী সম্পর্কের দ্বারা খুন হয়ে গিয়েছে বলা যায়?

না! পরিবর্তে, পল্টু এবং বেহিমের সাথে লড়াইয়ের সময়, পাড়ার গুন্ডারা, ভাই বোনেরা তাঁদের দাদু, তাঁদের বাড়ি এবং পুজো রক্ষার জন্য একত্রিত হয়েছিল। তাঁরা একসাথে স্থির থাকার সিদ্ধান্ত নেয় এবং আরও সংযুক্ত হয়ে যায় এবং পুজোরও দায়িত্ব গ্রহণ করে।

এই শর্ট ফিল্মটিতে তৈশি নন্দীর গাওয়া ‘আজও তাঁকে মনে পড়ে’ একটি সুন্দর গান রয়েছে যা অবশ্যই নস্টালজিয়াকে উদ্রেক করে।

এই সিনেমাটিতে রয়েছেন দেবজয় মল্লিক, অরুনাভ দে, তানিশা চ্যাটার্জী, ত্রেশা চক্রবর্তী এবং দেবোলিনা ঘোষ প্রমুখ।

Previous articleশুধু রোজগার করতে নয়, দুঃস্থ, প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়তে টোটো চালায় তিনি
Next articleবিজেপিকে ঠেকাতে সব দলকে নিয়ে যৌথ মঞ্চ গড়ার পক্ষে সওয়ালও ইয়েচুরির