আফগানিস্তানের মসজিদে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে মৃত কমপক্ষে ৬২, আহত শতাধিক

ভয়ঙ্কর, মর্মান্তিক বিশেষণগুলো যেন এক্ষেত্রে কম পড়ে যায়। শুক্রবার অর্থাৎ পবিত্র জুমাবারে আফগানিস্তানে মসজিদের ভেতরে একাধিক বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। আমাদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় নানগারহার প্রদেশের হাসকা মিনা জেলায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে মসজিদটির ছাদ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে।

আফগানিস্তানে হিংসা অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছেছে, জাতি সংঘের এমন বক্তব্যের একদিন পরেই এমন ঘটনা ঘটল। প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র আতাউল্লাহ খোগিয়ানি বলেন, বেশ কিছু বোমা মসজিদের ভেতরে রাখা হয়েছিল। আর সেসব বোমাই বিস্ফোরণ হয়েছে।

নিহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করে প্রাদেশিক কাউন্সিলর সোহরাব কাদেরি বলেন, বোমা বিস্ফোরণের পর ছাদের নিচ থেকে নিহত ও আহতদের উদ্ধার কাজ করে স্থানীয় মানুষ।
এই ঘটনার পর এক প্রত্যক্ষদর্শী মালিক বলেন, ‘মসজিদটি ধ্বংসস্তূপ হয়ে গেছে। এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সাক্ষী তিনি।

প্রেসিডেন্টের বাসভবনের মুখপাত্র সাদিক সিদ্দিকি এই ঘটনাকে আত্মঘাতী বোমা হামলা উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তালিবান এবং তাদের সমর্থকেরা নামাজের সময় নিরীহ মানুষের ওপর জঘন্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন। এদিকে, স্থানীয় পুলিশের আধিকারিক মুবারেজ আটল বলেন, নিহত সবাই পুণ্যার্থী ছিলেন।

এখনো পর্যন্ত এই ঘটনার কেউ দায় স্বীকার করেনি। তবে ওই প্রদেশে জঙ্গিগোষ্ঠী তালিবান ও ইসলামিক স্টেট (আইএস) সক্রিয় রয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নতুন এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানায়, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আফগানিস্তানে ‘নজিরবিহীন’ ভাবে সাধারন মানুষ নিহত অথবা আহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনের তথ্য মতে, গত তিন মাসে আফগানিস্তানে বিভিন্ন হিংসাত্মক ঘটনার জেরে নিহত ও আহত হয়েছেন ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ।

Previous articleবন্ধ টালা ব্রিজ, এবার বিকল্প অটো-জল পথের সন্ধান দিলেন পরিবহন মন্ত্রী
Next articleজলের কলে আগুন!