পিজি হাসপাতালে কুকুরের ডায়ালিসিস করিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল রাজ্য জুড়ে। বিধায়ক নির্মল মাজির নির্দেশে সেই ঘটনা কার্যত চাপা পরে যায়। কিন্তু লড়াই ছাড়েননি ডাঃ কুণাল সাহা। তাঁর দীর্ঘ লড়াইয়ের জেরে ভর্ৎসিত হলেন নির্মল মাজি সহ হাসপাতালের দুই কর্তাও। মনে রাখতে হবে নির্মল মাজিও নিজে একজন চিকিৎসক।

২০১৫ সালে কুকুরের ডায়ালিসিস নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। অভিযোগ ছিল, পিজি হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগে পোষ্যের ডায়ালিসিসের জন্য নাম জড়িয়েছিল নির্মল মাজির। সেই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার রায় জানাল মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (এমসিআই)। শনিবার মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ওই ঘটনাকে নিন্দনীয় বলে নির্মল মাজি, তৎকালীন হাসপাতাল সুপার প্রদীপ মিত্র এবং নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান রাজেন্দ্র পাণ্ডেকে সতর্ক করল। একই সঙ্গে ওই ঘটনার জন্য ভর্ৎসনাও করা হয়েছে এই তিনজনকে।


এসএসকেএমে ডায়ালিসিসের জন্য ঘুরে-ঘুরে মরণাপন্ন রোগীরা যেখানে ‘ডেট’পান না, দিনের পর দিন অপেক্ষা করে বসে থাকতে হয়, সেখানে নিজের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ার কুকুরের জন্য রাজ্যের সুপার স্পেশ্যালিটি ওই হাসপাতালের ডায়ালিসিস ওয়ার্ডে সব ব্যবস্থা পাকা করেও নির্মলবাবুর কিন্তু এতটুকুও হেলদোল নেই। বরং নিজের এ হেন উদ্যোগের পক্ষে তিনি যুক্তিও শানাচ্ছেন। ‘‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। কুকুরটা খুব সুন্দর, ছটফটে। তিন মাস ধরে কষ্ট পাচ্ছিল। তাই এসএসকেএমের একটা হেল্প নিতে চেয়েছিলাম।’’— বলছেন শাসকদলের চিকিৎসক নেতা। তাঁর যুক্তি, ‘‘পশু হাসপাতালে ডায়লিসিসের ব্যবস্থা নেই। সেখানকার সার্জনদেরও অনুরোধ করেছিলাম এসএসকেএম-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিতে।’’এরপর প্রবাসী চিকিৎসক কুণাল সাহা মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা গুরুত্ব পায়নি। রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলেও তাঁর মামলা দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রাখা হয়। তারপর তিনি যান সর্বভারতীয় মেডিক্যাল কাউন্সিলে। সেই রায়েই চার বছর পর ভর্ৎসনা করল মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া।

আরও পড়ুন-তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে যেখানে দানা বাঁধছে রহস্য

