ফের তৃনমূলের পার্টি অফিসে বোমাবাজির অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে

রাতের অন্ধকারে তৃনমূলের দলীয় কার্যালয়ে বোমাবাজি করার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। এরই প্রতিবাদে ফের দেওচড়াই মোড় এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা।

অভিযোগ, শনিবার রাতে তৃণমূল কার্যালয় লক্ষ্য করে দুটি বোমা ছোড়ে বিজেপি আশ্রিত কিছু সমাজবিরোধী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ ও দমকল। তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। দলীয় কার্যালয়ে বোমাবাজি করা ও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবিতে সকাল থেকে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তৃণমূল। প্রায় ১ ঘণ্টা অবরোধ চলে বলে জানা গিয়েছে। পরে পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের আশ্বাস দিয়ে পথ অবরোধ তুলে নেয়।

ওই ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার সকালে দেওচড়াই মোড়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে তৃণমূল কার্যালয় পরিদর্শনে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
এদিন সেখানে পরিদর্শনে এসে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন,“গতকাল রাতে দেওচড়াই এলাকায় তৃনমূলের দলীয় কার্যালয়ে বোমাবাজি করেন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাতে এলাকায় মানুষের মধ্যে ভয় ভীতি সৃষ্টি করার চেষ্টা বিজেপি। এতে মানুষ ভয় পাবে না। কারণ বিজেপি ব্যাঙের ছাতার মত এসেছে ব্যাঙের ছাতার মত যাবে। মানুষ আমাদের পাশে আছে। কারণ ওরা সন্ত্রাস করছে এলাকায়,আর আমরা উন্নয়ন করছি। তাই ভয় পাবেন না বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। কারণ ওদের সন্ত্রাস মানুষ আর মেনে নেবে না। সম্প্রতি পাতলাখাওয়া এলাকায় মজির উদ্দিন সরকারকে তারা খুন করেছে। গতকাল শালবাড়ি এলাকায় পিতাব বর্মণ ধারাল অস্ত্র দিয়ে মেরেছে। তাই মানুষ তাদের মেনে নেবে না। সাধারন মানুষেই তাদের কে তাড়াবে।

এবিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা কমলেশ্বর বর্মন বলেন, ‘বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে হামলা চালায় আমাদের কার্যালয়ে। তাদের তো বুকের পাঠা নেই দিনের বেলায় হামলা করার। কারণ তাঁরা কাপুরুষ। তাই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে এদিন প্রায় ১ ঘণ্টা পথ অবরোধ করা হয়। পুলিশ দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে আমরা পথ অবরোধ তুলে নিই।

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি নেতা রাজীব সরকার বলেন,“এই ঘটনার সাথে বিজেপির কোনো যোগ নেই। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই তাঁদের দলীয় কার্যালয়ে বোমা মেরে আমাদের নামে বদনাম করে প্রচারে আসার চেষ্টা করছে। কারণ মন্ত্রীর নিজের এলাকায় তার পায়ের মাটি সরে গেছে, তাই তা ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য এসব করছেন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা।”
প্রসঙ্গত, ইটাভাটার কর্মীদের লাগাম কার হাতে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের তুফানগঞ্জ। ওই ঘটনায় আহত হয়েছে বিজেপির ২ কর্মী সমর্থক। শনিবার সকালে তুফানগঞ্জ ১ নং ব্লকের দেওচড়াই মোড়ে একটি ইটভাটায় কর্মী নিয়োগ চলছিল। সেই সময়ই কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করে অশান্তিতে জড়িয়ে তৃণমূল-বিজেপির কর্মীরা। বচসা ক্রমেই হাতাহাতিতে পৌঁছয়। এরপরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর পুলিশের সামনেই চলে দু’পক্ষের লড়াই। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ওই ঘটনায় দুই পক্ষের আহত হয় ২ জন কর্মী সমর্থক। এরপর গতকাল রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে বিজেপি আশ্রিত সমাজবিরোধীরা বোমাবাজি করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। তাই এদিন ওই সমাজ বিরোধীদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রায় ১ ঘন্টা ধরে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দেওচড়াই মোড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ তৃণমূল কংগ্রসে কর্মীরা।

Previous articleবউদিকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা দেওরের, কিন্তু কেন?
Next articleগান্ধী সংকল্প যাত্রায় যাওয়ার পথে লকেটের গাড়ি আটকানোর অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে