অনেকাংশে বাকি স্টল তৈরির কাজ, ময়দানের বাজি মেলাতে বিলম্ব

অনেক টালবাহানার পর ফের কালীপুজো ও দীপাবলীর বাজি বাজার ময়দানে বসতে চলেছে । সেনাবাহিনীর অনুমতি মেলার পর শহিদ মিনার চত্বরে বাজি বাজার বসার কথা ২২ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত। এবার মোট ৪৩টি স্টল বসবে এই মেলায়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে মেলা জাকিয়ে বসতে সময় লাগবে আরও অন্তত দুদিন। কারণ, একটিও স্টল এখনও প্রস্তুত হয় নি। প্রস্তুত নয় অস্থায়ী ভাবে বসানো আলোক স্তম্ভ গুলি। ফলে মেলা বসতে কিছুটা বিলম্ব হবে। তবে দিনরাত এক করে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে স্টল তৈরির কাজ।

যদিও স্টল মালিকদের দাবি, বাজি মূলত বেশি বিক্রি হয় ধনতেরাস অর্থাৎ কালীপুজোর আগের দিন। ফলে কেনাকাটার ক্ষেত্রে খুব বেশি সমস্যা হবে না। ময়দানে যে বাজি মেলা ফিরেছে, তাতেই বেশি খুশি তারা।

ময়দানের বেশিরভাগ স্টলেই বাজি আসে চেন্নাইয়ের শিবকাশী থেকে। চাম্পাহাটি বা নুঙ্গি কেন নয়? তাদের দাবি, শিবকাশীর আতস বাজি ভারতসেরা। সেখানকার বাজির মানও অনেক ভালো। বিভিন্ন রকমের বাজি আসে সেখান থেকে, যেটা চাম্পাহাটি বা নুঙ্গিতে তৈরি হয় না। তবে চাম্পাহাটি বা নুঙ্গি থেকেও বাজি আসে কিছু কিছু স্টলে। রকমারি চাইনিজ বাজিও পওয়া যাবে স্টলগুলোতে।

প্রসঙ্গত, গত বছর শহরে কালীপুজোর বাজি বাজার বসেছিল দক্ষিণ কলকাতার বিবেকানন্দ পার্কে। তবে তাতে বেজায় চটেছিলেন বাজি বিক্রেতারা। বাজি ব্যবসায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতিও হয়েছিল বলে জানা যায়। এবারও বাজি মেলা কোথায় হবে তা নিয়ে বেশ কয়েক দফায় বৈঠক হয়। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ফের ময়দানেই বসবে বাজি বাজার।

গতবছর ময়দানে বাজি মেলায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেনাবাহিনী। সেনা কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিতে দেরি করেন। যার ফলে গত বছরে বাজার বসে নি। এবার সেই জট কেটেছে। ময়দানের শহিদ মিনার চত্বরে সেই পুরোনো জায়গায় ফিরে এসেছে বাজি বাজার।

আরও পড়ুন-শিলিগুড়ির বিজয়া সম্মিলনীতে কী আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর?

 

Previous articleনিগৃহীত বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক
Next articleপ্রেসিডেন্সিতে ছাত্র ভোট ১৪ই